Advertisement
  • ন | গ | র | কা | হ | ন প্রচ্ছদ রচনা
  • আগস্ট ৯, ২০২৩

“মণিপুরে ভারত মাতাকে আপনারা খুন করেছেন ! এবার হরিয়ানাকে অশান্ত করতে চাইছেন” সংসদে অনাস্থা বিতর্কে মোদিকে সমালোচনা রাহুলের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
“মণিপুরে ভারত মাতাকে আপনারা খুন করেছেন ! এবার হরিয়ানাকে অশান্ত করতে চাইছেন” সংসদে অনাস্থা বিতর্কে মোদিকে সমালোচনা রাহুলের

মণিপুরে হিংসায় মদত দিয়ে আপনারা ভারত মাতাকে খুন করছেন। মণিপুরকে নরেন্দ্র মোদি দেশের অংশ বলে মনে করেন না।” সাজামুক্তির পর সংসদে দাঁড়িয়ে অনাস্থা প্রস্তাবপর উপর বিতর্কে এভাবেই নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি।

রাহুল গান্ধি বুধবার সংসদে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করে বলেন, ‘‘আপনি মণিপুরের লোককে মেরে ভারত মাতাকে হত্যা করেছেন। আপনি দেশভক্ত নন। আপনি দেশদ্রোহী। দেশপ্রেমী নন। তাই আপনি মণিপুরে যেতে পারেন না। কারণ আপনি মণিপুরে ভারত মাতাকে হত্যা করেছেন।’’

রাহুল গান্ধি বলেন, ‘‘ আমি মণিপুরে গিয়েছিলাম। এক মহিলাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আপনার সঙ্গে কী হয়েছে? উনি আমার সামনে কাঁপতে কাঁপতে অজ্ঞান হয়ে গেলেন।’’ আমি আগেই বলেছি, ভারত আসলে একটি আওয়াজ। দেশের মানুষের আওয়াজ। আর এই আওয়াজকে হত্যা করা হয়েছে মণিপুরে। তার মানে আপনারা ভারত মাতাকে হত্যা করেছেন মণিপুরে।’’

অনাস্থা বিতর্কে মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করে কংগ্রেস সাংসদ বললেন, ‘‘মণিপুরকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই অশান্ত মণিপুরে তিনি একবারের জন্যও যাননি। অথচ তিনি দেশের অন্যত্র গিয়েছেন। সফর করেছেন। কেন মণিপুরে যাননি? কেন তাঁর মণিপুর যাওয়ার সময় হয়নি? তার কারণ উনি মণিপুরকে ভারতের অংশ বলে মনে করেন না।’’

রাহুল এদিন প্রথমেই ভারত জোড়ো যাত্রার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন,  ‘‘ভারত জোড়ো যাত্রা খুব বেশি ভেবে চিন্তে শুরু করিনি। ভেবেছিলাম যে দেশের জন্য আমি সব করতে পারি, মোদিজির জেলেও যেতে পারি, তাকে একটু কাছ থেকে দেখা যাক। ভেবেছিলাম আমি রোজ শারীরিক কসরত করি, যোগব্যায়াম করি। হাঁটা আর এমন কী ব্যাপার! কিন্তু সেই অহঙ্কার দু’দিনে ভেঙে গেল। রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠতাম হাঁটুর ব্যথা নিয়ে। ভাবতাম আজ হাঁটতে পারব তো ! কিন্তু প্রতিদিন, অসংখ্য মানুষ আমায় উৎসাহ দিয়েছেন, আমি দেশকে চিনেছি,জেনেছি। আমার কানে একটা আওয়াজই শুধু এসেছে, ভারত জোড়ো, এটাই ভারতের আওয়াজ।’’

এদিন শুরুতেই রাহুল গান্ধি বলেন, ‘‘আজ বেশি আক্রমণ করব না। তবে দুটো-একটা গোলা তো ছুড়বই।’’ উর্দু কবি রুমির লেখা উদ্ধৃত করে রাহুল গান্ধি বললেন, ‘‘রুমি বলেছিলেন, মন থেকে বলা কথাই মনে পৌঁছয়।আমিও আজ মাথা দিয়ে কথা বলব না, যা বলব মন থেকে বলব।’’ তবে একই সঙ্গে বিরোধীদের আশ্বস্ত করে বললেন, ‘‘চিন্তা নেই, আজ আদানি নিয়ে কথা বলব না। আজ আমি একটু অন্য বিষয়ে কথা বলব।’’
তবে মণিপুর প্রসঙ্গে বলার সময় রাহুল গান্ধি বলেন, “ভারত আমাদের মা, সেই মাকে হত্যা করা হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদি ভারতের আওয়াজ শুনতে পান না। নরেন্দ্র মোদি অমিত শা আর আদানির কথা শোনেন।”

রাহুল গান্ধি যখন সংসদে বলছেন, তখন বিজেপি সাংসদরা রীতিমতো অসংসদীয় আচরণ করে রাহুল গান্ধিকে থামানোর চেষ্টা করেন। কিরণ রিজিজু তীব্র ভাষায় রাহুল গান্ধির বক্তব্যের বিরোধীতা করতে থাকেন। বিরোধীরাও প্রতিবাদে সরব হন।
লোকসভার অধ্যক্ষ এরপর বলেন, “এসব সদনে করা চলবে না, বসুন। সবাই বসুন।”

রাহুল গান্ধির বক্তব্য শেষে সংসদে বিজেপি সাংসদরা একদিকে মোদি,মোদি ধ্বনি দিতে থাকেন অন্যদিকে কংগ্রেস ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া স্লোগান দিতে থাকেন।
রাহুল গান্ধির পর বিতর্কে অংশগ্রহণ করে স্মৃতি ইরানি বলেন, “মণিপুর ভারতেরই অংশ, কোনও বিভাজিত রাজ্য নয়।” এভাবেই স্মৃতি রাহুলের বলা, “মণিপুরকে মোদিজি দেশের অংশ বলে মনে করেন না”, বক্তব্যের জবাব দেন।


  • Tags:

Read by:

❤ Support Us
Advertisement
homepage block publication
Advertisement
homepage block publication
Advertisement
House publication
Advertisement
শিবভোলার দেশ শিবখোলা স | ফ | র | না | মা

শিবভোলার দেশ শিবখোলা

শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।

সৌরেনি আর তার সৌন্দর্যের সই টিংলিং চূড়া স | ফ | র | না | মা

সৌরেনি আর তার সৌন্দর্যের সই টিংলিং চূড়া

সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।

মিরিক,পাইনের লিরিকাল সুমেন্দু সফরনামা
error: Content is protected !!