শিবভোলার দেশ শিবখোলা
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
৩ মে মণিপুরে জাতিগত সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে ১৭৫ জন নিহত হয়েছে, ১,১১৮ জন আহত হয়েছে এবং ৩৩ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে বলে রাজ্যের পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশের তথ্য জানিয়েছে, এখনও ৯৬টি মৃতদেহ বেওয়ারিশ অবস্থায় মর্গে দাবীবিহীন অবস্থায় পড়ে আছে।
রাজ্য সরকার উত্তর-পূর্ব রাজ্যে সহিংসতার প্রভাব সম্পর্কে কিছু মূল তথ্য পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধারের জন্য রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও চার মাসেরও বেশি সময় ধরে মণিপুরে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে।
সরকারি রিপোর্ট বলছে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৫,১৭২ টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে,এর মধ্যে ৪,৭৮৬টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৩৮৬টি ধর্মীয় স্থান পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যার মধ্যে ২৫৪টি গীর্জা এবং ১৩২টি মন্দির রয়েছে। সহিংসতার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় অস্ত্রাগার থেকে ৫,৬৬৮টি অস্ত্র লুট করা হয়েছে। এর মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনী ১,৩২৯টি অস্ত্র উদ্ধার করেছে। আরও ১৫ হাজার ৫০টি গোলাবারুদ এবং ৪০০টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। এই রিপোর্ট বলছে, নিরাপত্তা বাহিনী রাজ্যে অন্তত ৩৬০টি অবৈধ বাঙ্কার ধ্বংস করেছে।
ফুগাকচাও ইখাই এবং কাংভাই গ্রামের মধ্যে তৈরি ব্যারিকেডগুলি ইম্ফল-চুরাচাঁদপুর রাস্তা বরাবর প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে দেওয়া ছিল, ও বৃহস্পতিবার এই ব্যারিকেড অপসারণ করা হয়েছে । এই ব্যারিকেডগুলি পাহাড় এবং উপত্যকার মধ্যে একটি নিরাপদ সীমানা হিসাবে নিরাপত্তা বাহিনী দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিল যাতে সংঘর্ষে লিপ্ত মেইতি এবং কুকি সম্প্রদায়ের লোকেরা এই পাহাড় ও উপত্যকার সীমানা পার হয়ে আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে না পারে।
এদিকে ইন্টারন্যাশনাল মেইটিস ফোরাম (আইএমএফ) দ্বারা মণিপুর হাইকোর্টে দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলয় তারা আবেদন করেছে যে ভারতের জাতিগত সহিংসতার বিষয়ে এডিটরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়ার দ্বারা প্রকাশিত তথ্য-অনুসন্ধান প্রতিবেদনটি তারা “বাতিল” করতে চায়। এই পিআইএল-এ তারা আদালতের কাছে অনুরোধ করে বলে, মণিপুরের এই সংঘর্ষের আবহে কোনও কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার দ্বারা উল্লিখিত প্রতিবেদন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হোক, মণিপুর হাইকোর্ট এই আবেদনটি এখন গ্রহণ করেছে।
মণিপুরের জনসংখ্যার প্রায় ৫৩ শতাংশ মেইতি সম্প্রদায়ের, যাদের বেশিরভাগই ইম্ফল উপত্যকায় বাস করে, যেখানে নাগা এবং কুকি সহ আদিবাসীদের ৪০ শতাংশ , তাদের বেশিরভাগই পার্বত্য জেলায় বসবাস করে।
তফসিলি উপজাতির মর্যাদা পাওয়ার জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতি সম্প্রদায়ের দাবির প্রতিবাদে পার্বত্য জেলাগুলিতে গত ৩ মে একটি ‘উপজাতি সংহতি মিছিল’ হয়, তার পরেই মণিপুরে জাতিগত সংঘর্ষের শুরু, যার পরিণতিতে মণিপুরে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত ও মৃত।
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।
মিরিক নামটি এসেছে লেপচা ভাষার “মির-ইওক” শব্দ থেকে, যার অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া জায়গা।
15:34