- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ২, ২০২৩
দেশে ফেরানোর রায়ের বিরুদ্ধে রানার পিটিশন, আইনি জটিলতায় থমকে পারে মুম্বাই হামলার অন্যতম মূল ষড়যন্ত্রীর প্রত্যর্পন

আইনি জটিলতায় আটকে যেতে পারে তাহাউর রানার প্রত্যর্পণ। এপ্রিল মাসের শেষে ভারতের দাবি মঞ্জুর করে ২৬/১১-এর মুম্বাই হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রীকে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছিল আমেরিকার আদালত। তারপরে এ ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছিল বাইডেন প্রশাসন। সে প্রক্রিয়া শুরু হতে না হতেই থমকে গেল। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডার ব্যবসায়ীর আইনজীবী আদালতে একতি রিট পিটিশন দাখিল করে আগের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। নিজেদের দাবির স্বপক্ষে সাজিয়েছেন বেশ কয়েকটি যুক্তি। এ নিয়ে আরও ভাবনা-চিন্তার করার জন্য সময় চেয়েছে আদালত।
রানার আইনজীবীর প্রধান যুক্তি হল , প্রধানত দুটি কারণে ভারতে বন্দী প্রত্যর্পণ সম্ভব নয়। আর তা যদি করা হয় তাহলে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ নিয়ে যে চুক্তি রয়েছে তা লঙ্খিত হবে। তিনি জানিয়েছেন, ভারত সরকার যে সব অভিযোগে তাঁর মক্কেলকে নিজের ফিরিয়ে আনার দাবি তুলেছে সেমস্ত মামলায় আগেই ইলিনয়ের আদালতে নির্দোষ সাব্যস্ত হয়েছেন রানা । দ্বিতীয়ত, ভারত সরকার তাঁদের দাবির স্বপক্ষে যেসব তথ্যপ্রমাণ হাজির করেছেন, তা মুম্বাই হামলার সঙ্গে রানার সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগকে প্রমাণিত করার জন্য যথেষ্ট নয়। তাই রানাকে এখনই এসমস্ত অভিযোগ থেকে রেহাই দেওয়া প্রয়োজন। এখানে বলা প্রয়োজন, কানাডার ব্যবসায়ী এখন লস এঞ্জেলসের কয়েদখানায় রয়েছেন।
২০০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বাইয়ে জঙ্গি হামলার অন্যতম অভিযুক্ত তাহাউর দীর্ঘদিন ধরেই কানাডায় রয়েছেন। লস্কর-এ- তৈবার পরামর্শদাতা হেডলি কোলম্যানের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সখ্যতা। বেশ কয়েকবছর আগে একটি নাশকতামূলক ঘটনার জড়িত থাকার জন্য তাঁকে আটক করা হয়। ২০২০ সালে ভারত সরকার তাকে ফিরিয়ে আনার দাবি জানায়। দু দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত বন্দী বিনিময় চুক্তির ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর ভারতের দাবিকে সমর্থন জানান ও সেই অনুযায়ী কাজ শুরু করেন। ভারতে ফিরিয়ে আনলে এনআইএ তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চালাবে, করা হবে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ । তা এড়াতেই কি পাল্টা আইনের প্যাঁচ কষা শুরু হল? উত্তর এখনও অজানা।
❤ Support Us