- এই মুহূর্তে দে । শ
- আগস্ট ৩০, ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী পদে প্রথমে আপনি ! দাবি কেজরির দলের মুখপাত্র প্রিয়ঙ্কা কক্করের

‘২০২৪-এর লোকসভা ভোটে বিজেপিকে হারানোই বিরোধী জোটের মূল উদ্দেশ্য’’, এমনই বক্তব্য ছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। তবে মুম্বইয়ে ‘ইন্ডিয়া’র তৃতীয় বৈঠকের আগেই দিল্লির মুখমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে প্রধানমন্ত্রী চেয়ে লোকসভার ভোট প্রচারে নামতে চাইছে আম আদমি পার্টি বা আপ। দলের মুখপাত্র প্রিয়ঙ্কা কক্কর বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে, ‘বিরোধী জোটের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী’ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘‘আপনারা যদি আমাকে প্রশ্ন করেন তা হলে আমি বলব, অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে বিরোধী জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই।’’
আপ প্রধান এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে গত কয়েক বছরে অরবিন্দ ধারাবাহিক ভাবে আমজনতার সমস্যাগুলি সামনে এনেছেন এবং সেগুলি সমাধানের চেষ্টা করেছেন বলেও দাবি করেন আপ মুখপাত্র প্রিয়ঙ্কা কক্কর। তাঁর দাবি, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বোচ্চ পদে নরেন্দ্র মোদির একমাত্র বিশ্বাসযোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।’’ প্রশাসনিক এবং শিক্ষাগত যোগ্যতাতেও খড়্গপুর আইআইটি থেকে ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিগ্রিধারী, ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিস বা আইআরএস-এর প্রাক্তন অফিসার কেজরিওয়াল এগিয়ে বলে দাবি করেন আপ মুখপাত্র। কেন্দ্রীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোটের প্রক্রিয়া দানা বাঁধার আগেই আপের এই পদক্ষেপ ‘ইন্ডিয়া’র অন্দরে নতুন করে টানাপড়েন তৈরি করতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের আশঙ্কা। কেননা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দল তৃণমূল ইতিমধ্যেই মুখে মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের পর অর্থাৎ ভারতের আগামী প্রধানমন্ত্রী বলে প্রচার শুরু করেছে। এদিকে মমতা-অরবিন্দ সম্পর্ক ভালো। তাই এখন যদি অরবিন্দের দল অরবিন্দকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী বলে দাবি করে প্রচারে যেতে চায় তাহলে তৃণমূলের সঙ্গে আপের দূরত্ব তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলে রেখেছেন, তিনি কোনও পদ চান না। তাঁর লক্ষ্য দেশ থেকে বিজেপিকে অপসারিত করা। এদিকে অশোক গেহলট রাহুল গান্ধিকে বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলে ঘোষণা করে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। বিজেপি বলছে, জোট দানা বাধার আগেই প্রধানমন্ত্রী পদের দাবি নিয়ে এই মতভেদ ইন্ডিয়া জোটকে কোথায় নিয়ে যায় সেটাই দেখার।
গত ২৩ জুন পটনায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশের আহ্বানে ১৭টি বিরোধী দলের প্রথম বৈঠক হয়। ১৭-১৮ জুলাই বেঙ্গালুরুতে ২৬টি দলের শীর্ষনেতৃত্বের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে আত্মপ্রকাশ করে ‘ইন্ডিয়া’। আগামী বৃহস্পতি ও শুক্রবার মুম্বইয়ে ‘ইন্ডিয়া’র সহযোগী দলের নেতারা বৈঠকে বসছেন। সেখানে জোটের আহ্বায়কের নাম ঘোষণা এবং ইন্ডিয়া-র লোগো বা পতাকা প্রকাশ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। বিরোধী জোটের ‘প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী’ সম্পর্কে বেঙ্গালুরুতে ‘ইন্ডিয়া’র তরফে জানানো হয়েছিল, সময়ই তা ঠিক করে দেবে। কিন্তু মুম্বই বৈঠকের আগে আপ মুখপাত্রের মন্তব্য, বিষয়টিকে অন্য মাত্রা দিল বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি তৃণমূলও মুখে মুখে দীর্ঘদিন আগে থেকে এবং কোনও কোনও জায়গায় ইন্ডিয়া জোটের আগে মমতাকেই দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরে প্রচার করা হচ্ছে।
❤ Support Us