- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- জানুয়ারি ১৭, ২০২৫
সাইফের হামলাকারীকে ধরতে মুম্বই জুড়ে চিরুনিতল্লাশী পুলিশের। আটক এক সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ

অভিনেতা সাইফ আলি খানকে তাঁর মুম্বাইয়ের বাড়িতে ছুরিকাঘাতের একদিন পরে, আজ সকালে চিরুনিতল্লাশীর পর এক সন্দেহভাজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। খবর অনুয়াযী, সন্দেহভাজনকে বান্দ্রা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে গতকাল তিনিই সাইফ আলি খানের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে আক্রমণ করেছিলেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গতকাল ঘটনার পর আক্রমণকারী ব্যক্তিকে বান্দ্রা রেলওয়ে স্টেশনের কাছে দেখা গেছিল। সিসিটিভি ক্যামেরায় ওই দুষ্কৃতীকে দেখা গিয়েছিল ব্রিজে উঠতে। তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল মুম্বই পুলিশ। বান্দ্রা স্টেশন এবং সইফ আলি খানের বাড়ির সংলগ্ন এলাকায় চলছিল জিজ্ঞাসাবাদ। ঘটনার ৩৩ ঘণ্টা পরে এক সন্দেহভাজনকে আটক করেছে মুম্বই পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সন্দেহভাজন আততায়ী পালানোর আগে পোশাক পরিবর্তন করে ভাসাই এলাকায় পালানোর চেষ্টা করছিল। মুম্বাই পুলিশ ২০ জনের বিশেষ তদন্ত দল গঠন করেছে এবং অভিযুক্তদের খুঁজে বের করতে ভাসাই এবং নালাসোপাড়ায় এলাকায় সইফের হামলাকারীর সন্ধানে তল্লাশি করছিল। বান্দ্রা পুলিশ সূত্রে খবর, আতততায়ী পশ বান্দ্রা এলাকার ১২ তলা বিল্ডিং সতগুরু শরণ’ এ চুরি করার জন্যই ঢুকেছিল। পিছনের সিঁড়ি দিয়ে ঢুকে পড়ে আবাসনে, যেখানে চারতলায় পরিবার নিয়ে থাকেন পতৌদির নবাব। বুধবার রাতে সেখানেই হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ছেলের ঘরের সামনে তাকে দেখেই ঝঁপিয়ে পড়েন সইফ আলি খান। আর তখনই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় দুষ্কৃতী। সঙ্গে শাসানি চলে… ‘এক কোটি টাকা দে!’ রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অস্ত্রোপচারও হয়।
লীলাবতী হাসপাতালে লীনা জৈনের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন সইফ। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মোট ৬ টি ক্ষত রয়েছে তাঁর দেহে। তার মধ্যে শিরদাঁড়ায় আঘাত সবচেয়ে গুরুতর। ছুরির ২ ইঞ্চি অংশ মেরুদণ্ডে বিঁধে ছিল। সেখান থেকে বেরিয়ে আসছিল সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ছুরি বের করা হয়। এছাড়াও চোট লেগেছিল ঘাড়, হাতে। ছুরির অংশটি নিজেদের হেপাজতে নিয়েছে বান্দ্রা থানার পুলিশের ফরেস্নিক দল।
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে কীভাবে তারা বাড়ির ভিতরে ঢুকে গেল, তা জানতে মুম্বই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বান্দ্রা থানার আশপাশেই ঘোরাফেরা করছিল সন্দেহভাজন সেই ব্যক্তি। তবে এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্তের খোঁজ পাওয়া যায়নি। যাকে আটক করা হয়েছে, সে-ই মূল অভিযুক্ত কি না, তা নিয়ে চলছে তদন্ত। এই ঘটনায় আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী, গৃহকর্মী সহ ৩ জনকে ইতিমধ্যে নিজেদের হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে মুম্বাই পুলিশের বিশেষ দল।
অন্যদিকে বাবা সিদ্দীকির খুনের পর সালমান খান সহ অভিনেতাদের নিরাপত্তা কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছিল। এবার সইফ আলি খানের ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বলিউড পাড়ায়। এই ঘটনায় লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হাত থাকতে পারে বলে অন্দেহ করেছেন বলিউডের একাংশ।
❤ Support Us