Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩

২০১৯-এর পর এবার ময়দানে ফের বাজি বাজার বসছে

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
২০১৯-এর পর এবার ময়দানে ফের বাজি বাজার বসছে

টানা তিন বছর পর এবার আবার ময়দানে বসতে চলেছে বাজি বাজার। তবে বিষয়টি এখনও সেনাবাহিনীর অনুমতির ওপর নির্ভর করছে। সেনাবাহিনীর অনুমতি মিললে এবার ফের তিন বছর পর ময়দানে বসছে বাজির বাজার বসতে চলেছে। রাজ্য সরকারি নির্দেশ মেনে ৫০টি স্টল সেখানে থাকবে। কেবলমাত্র পরিবেশবান্ধব সবুজ বাজিই ময়দানের বাজি বাজার থেকে বিক্রি হবে। সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, নবান্নের সবুজ সংকেত এসে গিয়েছে। সেনার ছাড়পত্র মিললে লক্ষ্মীপুজোর পর এই বাজার বসবে ময়দানে।

কী বাজি থাকবে ময়দানের বাজি বাজারে? জানা গেছে, তারাবাজি, ফুলঝুরি, চরকি, হাওয়াই, তুবড়ি, রংমশাল-সহ আকাশে ওঠা বিভিন্ন রকমের বাজি বিক্রি হবে। ফলে সাধারণ মানুষ কালীপুজোর আগে সেখান থেকেই আতসবাজি কিনতে পারবেন। শব্দমাত্রা বেঁধেই বাজি বানানো হয়েছে তবে এর আগে টালাতে যে বাজির বাজার বসেছিল, তা এবার না বসার সম্ভাবনার কথাই জানানো হয়েছে। একমাসের জন্য বাজির বাজারের লাইসেন্স দেওয়া হলেও দিন পনেরোর জন্য শহীদ নিনার ময়দানে বাজির বাজার বসবে বলে জানা যাচ্ছে।

সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘শহিদ মিনারের কাছে ময়দানে যে বাজির বাজার বসে সেটা এবার বসবে। ২০১৯ সালের পর অবশ্য এখানে বাজি বাজার আর বসেনি। তবে এবার আবার বসছে। এছাড়াও গোটা রাজ্যের সব জেলা মিলিয়ে মোট ৭০টা আতসবাজির মেলা এবার হবে। তার মধ্যে উত্তরবঙ্গেই হবে ২০টি। ময়দান বাদ দিয়ে বড় মেলা হবে ডুমুরজলা স্টেডিয়াম, কাওয়াখালি, বেহালা অথবা বারাসতের মধ্যে কোনও একটি জায়গায়।’’

দিনকয়েক আগে বাজির বাজার সম্পর্কিত সরকারি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যে কোনও বাজির বাজারে ৫০টির বেশি স্টল করা যাবে না। প্রতিটি স্টলের মধ্যে তিন মিটারের দূরত্ব রাখতে হবে। কোনও স্টলের গেট মুখোমুখি হওয়া চলবে না। বাজার চত্বরে ‘বিস্ফোরক এবং বিপজ্জনক সামগ্রী’ লেখা বোর্ড ঝুলিয়ে রাখতে হবে স্থানীয় ভাষায়। স্কুল, মন্দির, টেলিফোন বা বিদ্যুৎ ভবনের মতো জায়গা থেকে বাজির বাজারের দূরত্ব অন্তত ৫০ মিটার হতে হবে।

কেমন হবে বাজির দোকানগুলি? সরকারের তরফে বলা হয়েছে, বাজি রাখার জন্য দাহ্য নয়, এমন বস্তু দিয়ে ছাউনি তৈরি করতে হবে। বিদ্যুৎ এবং আলোর ব্যবহার নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে বিক্রেতাদের। স্টলের ৫০ মিটারের মধ্যে কোনও বাজি ফাটানো যাবে না। জরুরি চিকিৎসা পরিষেবার বন্দোবস্তের পাশাপাশি অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা এবং দমকলের দু’টি গাড়ি অবশ্যই রাখতে হবে বাজি বাজারে। এই প্রসঙ্গে বাবলা রায় বলেন, ‘‘বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৩০ দিন সময় হাতে আছে। অর্থাৎ, দুর্গাপুজো থেকেই চাইলে বাজার বসে যেতে পারে। কিন্তু ময়দানে অতদিন ধরে থাকবে না। সাত দিনের বাজার বেড়ে খুব বেশি হলে পনেরো দিন হতে পারে।’’


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!