- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ১৫, ২০২৩
লণ্ডনে দূতাবাস হামলার মূল চক্রী প্রয়াত। চিকিৎসকদের দাবি মৃত্যু স্বাভাবিক, মানতে নারাজ অনুরাগীরা

মারা গেলেন খালিস্থান মুক্তিফৌজ বা কেএলএফ প্রধান অবতার সিং খান্দা। দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভুগছিলেন। ব্রিটিশ গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে , কয়েক বছর আগেই দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন । চিকিৎসায় তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। বুধবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ভর্তি করা হয়েছিল বার্মিংহাম সিটি হাসপাতালে। লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় প্রায় সাড়ে বারোটা নাগাদ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। স্বাভাবিক মৃত্যু হলেও তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের ধারণা, বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়েছে তাঁকে। এর সত্যতা কতটা তা এখনও জানা যায়নি।
কেএলএফ নেতার সঙ্গে অমৃতপালের ছিল দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠতা। মার্চ মাসে স্বঘোষিত ধর্মগুরুর ডেরায় পুলিশি অভিযানের সময় তাঁকে পালাতে সাহায্য করেছিলেন। তিনি। শুধু তাই নয়, এ ঘটনার পর ১৯ মার্চ লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে বিচ্ছিনতাবাদীদের যে তাণ্ডব চলেছিল তাও ছিল অবতার সিং অবতার সিং খান্ডার মস্তিষ্কপ্রসূত একটি পরিকল্পনা। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এন আইএ-এ র থেকে খান্দা সহ আরো তিন বিচ্ছিন্নতাবাদীকে শনাক্ত করেছিল তাঁদের সন্ধাবন এখনও পাওয়া যায়নি।
কেএলএফ প্রধানকে রণজোধ সিং নামেও ডাকা হত। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে লণ্ডনে আশ্রয় নিয়ে তাঁদের খালিস্তানি আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য যুবদের অনুপ্রাণিত করতেন তিনি। কীভাবে বোমা তৈরি করতে হয় এবং আইইডি পরিচালনা করতে হয় সে ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দিতেন তিনি।
শুধু একা নিজেই নন, তাঁর সমগ্র পরিবারই বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানা গেছে। বাবা মা দুজনেই সক্রিয় খালিস্তানি কর্মী। ১৯৯১ সালে জঙ্গি কার্যকলাপের সময় পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় তার বাবার। মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল খালিস্তানি জঙ্গি গুরজন্ত সিং বুধসিংওয়ালা। তাই পারিবারিক পরিবেশেই বিচ্ছিন্নতাবাদের প্রাথমিক পাঠ হয় খারবান্দা-র। যার প্রয়োগ পরবর্তী কালে করেন তিনি।
❤ Support Us