শিবভোলার দেশ শিবখোলা
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
“পিপ্পা” ছবিতে কাজী নজরুল ইসলামের কালজয়ী গান কারার ওই লৌহকপাট-এর সুর ও ছন্দ বিকৃত করা নিয়ে এবার কবির নাতনী অনিন্দিতা কাজী ফেসবুক-এ চাঞ্চল্যকর পোস্ট করলেন। তিনি তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন তাঁর মা কল্যাণী কাজী ২০২১ সালে এই গানটি অবিকৃত রেখে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন বলে তিনি জানতেন। অনেক টাকার বিনিয়োময়ে এই গানটি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তাই কি চুক্তি হয়েছিল সেটা জানা খুব প্রয়োজন। তাহলেই সব পরিষ্কারঃ হয়ে যাবে। তাহলে ধরে নেওয়া যায়, এই গানটি ব্যবহারের চুক্তি নিয়ে কোনও জটিলতা ছিল, তাই কবির নাতনী অনিন্দিতা চুক্তির বিষয়টি প্রকাশ্যে আনার দাবি জানিয়েছেন। আর এই চুক্তির শর্তের ফাঁক গলেই কাজী সাহেবের এই গানটির সুর ও ছন্দ বিকৃত হয়ে প্রকাশ পেয়েছে? তাই অনিন্দিতা এখন চুক্তিপত্রটি প্রকাশ্যে আনার দাবি জানাচ্ছেন?
ইতিমধ্যেই বিশিষ্ট সুরকার এ আর রহমান নজরুলের এই গানটি রিমেক করে “পিপ্পি” সিনেমায় ব্যবহার করেছেন। তাতে গানের সুর ও ছন্দ বিকৃত হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, এই কাজ করে এ আর রহমান গানটিকে “হত্যা” করেছেন। এই বিষয় নিয়ে এবার মুখ খুলে ফেসবুক পোস্ট করে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য জনসমক্ষে তুলে ধরেছেন নজরুলের নাতনী অনিন্দিতা কাজী। অনিন্দিতা তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন–
“আমি অনিন্দিতা কাজী ,কাজী নজরুল ইসলামের নাতনী ,বর্তমানে নিউ জার্সি প্রবাসী। দাদুর “কারার ওই লৌহ কপাট” গানটির সুরবিকৃতি ঘটিয়েছেন বিশিষ্ট গীতিকার সুরকার শিল্পী এ আর রহমান। গোটা বিশ্ব জুড়ে বিতর্কের ঝড় ,তোলপাড়। আমার মা কল্যাণী কাজী ,যাঁর বেঁচে থাকাই ছিল নজরুলকে নিয়ে ,নজরুলকে ঘিরে ,নজরুলকে তিনি ধারণ করেছিলেন …তিনি ২০২১ সালে গানটি অবিকৃত রেখে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিলেন বলে জানতে পারি কিন্তু এর পরিণতি এমন হবে তিনি মৃত্যুর পরেও ভাবতে পারেননি বোধহয়। মিডিয়ার মারফত গোটা বিষয়টি জানি আমি। প্রশ্ন উঠছে “পরিবার থেকে অনেক টাকা নিয়ে গানটি ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ”সেক্ষেত্রে ২০২১ সালে কি এগ্রিমেন্ট হয়েছিল সেটা জানা খুব প্রয়োজন ,তাহলে সব বিতর্কের অবসান হবে। এবং যারা এগ্রিমেন্ট এর বিপক্ষে গিয়ে এই কাজটি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া যাবে। সার্বিক স্বচ্ছতার কারণে ও একজন পরিবারের সদস্য হিসেবে এই অজানা বিষয়টি জানার দাবি রাখি। মিডিয়া মারফত জানতে পারি এগ্রিমেন্ট এর কাগজ কাজী অনির্বাণের কাছে আছে। পরিবারের অন্যতম সদস্য হিসেবে আমি সেটা দেখতে চাই ,পেতে চাই ও বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাই।
সকলের সহযোগিতা চাইছি।”
এই প্রসঙ্গে নজরুল ইসলামের নাতি অনির্বাণ জানান, ‘‘আমার মা-কল্যাণী কাজীকে পিপ্পা ছবির প্রযোজকের তরফ থেকে ফোন করা হয়েছিল। তার পর আমার সঙ্গে কথা হয়। এ আর রহমান এই গানের রিমেক করবেন, শুনে মা খুবই উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন। কারার ওই লৌহ কপাট গানটি ছবিতে আংশিক বা সম্পূর্ণ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গানের সুর বা কথা পরিবর্তনের অনুমতি কিন্তু দেওয়া হয়নি। ওঁদের কাছে গানের চূড়ান্ত সংস্করণটি শুনতে চাওয়া হয়েছিল। তখন জানতাম, মাস ছয়েকের মধ্যে ছবিটা মুক্তি পাবে। পরে দু’বছর কেটে গেল। শেষমেশ আমাদের গানটাও আর শোনা হয়ে ওঠেনি।”
কাজী অনির্বাণের “শেষমেশ আমাদের গানটাও আর শোনা হয়ে ওঠেনি” এই গাফিলতি থেকেই কি ভুল সুর ও ছন্দে গানটি প্রকাশ পেয়ে গেল? এই প্রসঙ্গে অনিন্দিতার প্রশ্ন, “এই গান রিমেকের চুক্তিপত্রর ব্যাপারে পরিবারের অন্য কেউ কিছু জানতেন কিনা !” এদিকে এই প্রসঙ্গে অনির্বাণ জানিয়েছেন, “বিষয়টি সবাই জানেন। আমার ভাই অরিন্দমকেও চুক্তিপত্র দিয়েছি। আমার ধারণা মা ওকে সবটা জানিয়ে ছিলেন। তাহলে ধরে নিতে হবে মায়ের সঙ্গে ওর দুবছর ধরে কোনও যোগাযোগ ছিল না!”
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।
মিরিক নামটি এসেছে লেপচা ভাষার “মির-ইওক” শব্দ থেকে, যার অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া জায়গা।
15:34