- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- মে ১৫, ২০২৩
মোকার দুর্বলতা গাঙ্গেয় বঙ্গে আনতে পারে বৃষ্টি, পূর্বাভাস হাওয়া দফতরের

মোকার শক্তিক্ষয়ে জোরালো হচ্ছে পশ্চিমবাংলার বৃষ্টির সম্ভাবনা। রবিবার মায়ানমারেরর সিতাওয়ে ও বাংলাদেশের কক্সবাজারে তাণ্ডব চালানোর পর ঘূর্ণিঝড় এখন অনেকটাই দুর্বল। মৌসম ভবন সূত্রে জানা গেছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন জেলায় আগামী বুধবার থেকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। মিলতে পারে অস্বস্তিকর আবহাওয়া থেকে মুক্তি ।
আবহাওয়া দপ্তরের ব্যাখ্যা, যতদিন মোকা সমুদ্রে অবস্থান করছিল, স্থলভাগ থেকে জলীয় বাষ্প শুষে নিচ্ছিল। তাই অসহনীয় এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের বহু জেলায় জারি হয়েছিল তাপপ্রাবাহের সতর্কতা। রবিবার মায়ানমার উপকূলে যখন মোকা প্রবল বেগে আছড়ে পড়ে সেদিনও কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৪০ থেকে ৮৭ শতাংশের মধ্যে। অর্থাৎ এক প্রবল অস্বস্তিকর অবস্থা। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস শীঘ্রই এ অবস্থা থেকে রেহাই মিলবে। ১৭ মে বুধবার থেকে বদলাতে পারে আবহাওয়া। কারণ, মোকা দুর্বল হওয়ায় রাজ্যে জলীয় বাষ্পের প্রবেশ আর কোনো বাধা নেই। তাই শনিবার পর্যন্ত দুই বঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। এদের মধ্যে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনা এবং কলকাতায় হালকা থেকে মাঝারি ও দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদা, দুই দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
রবিবার ঘূর্ণিঝড় মোকা প্রবল শক্তি নিয়ে বাংলাদেশ ও মায়ানমারে আছড়ে পড়ে। সে সময় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৬০ কিমি । আবহাওয়া দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, গত চার দশকে বঙ্গোপসাগরে জন্ম নেওয়া দ্বিতীয় তীব্রতম ঘূর্ণিঝড় হল মোকা। যার বিধ্বংসী তাণ্ডবলীলায় ইতিমধ্যে বহু বাড়িঘরের ক্ষতি হয়েছে, ভেঙ্গে পড়েছে বহু গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি। মারা গিয়েছেন ৬ জন । ব্যাপক বৃষ্টির কারণে বহু জায়গা প্লাবিত। বিপর্যস্ত ইণ্টারনেট পরিষেবা। প্রশাসন জানিয়েছে উদ্ধারকার্য অব্যাহত। ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় দুর্গত ও অসহায় মানুষদের ত্রাণ পৌঁছে দেওয়াই প্রশাসনের কাছে এখন সবথেকে বড়ো চ্যালেঞ্জ।
❤ Support Us