Advertisement
  • এই মুহূর্তে বি। দে । শ
  • মার্চ ২৮, ২০২৫

জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে ইউনূস, চিনা ঋণের সুদের হার কমানোর আবেদন, নিবিড় পর্যবেক্ষন ভারতের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে ইউনূস, চিনা ঋণের সুদের হার কমানোর আবেদন, নিবিড় পর্যবেক্ষন ভারতের

ভারতের সঙ্গে কি দূরত্বই বজায় রাখতে চায় বাংলাদেশ?‌ বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের চিন সফরে তারই ইঙ্গিত। যদিও বাংলাদেশকে ভারত এড়িয়ে চলায় ইউনূসের এই চিন সফর। ৪ দিনের সফরে বুধবার হাইনানে পৌঁছন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। শুক্রবার, চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন মহম্মদ ইউনুস।
চিনে যাওয়ার আগে ভারত সফরে আসতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। কিন্তু ভারত সরকারের কাছ থেকে তিনি কোনও ইতিবাচক সাড়া পাননি। এরপর বুধবার, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে ঢাকায় বাংলাদেশের শহীদ সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর মাত্র কয়েক ঘন্টা পর চীনের পাঠানো বিশেষ চায়না সাউদার্ন ফ্লাইটে ৪দিনের সরকারি সফরে চীনের উদ্দেশ্যে রওনা হন। বুধবার হাইনানে পৌঁছানোর পর চীনের বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নেন ইউনুস। বৃহস্পতিবার হাইনান থেকে বেজিংয়ে পৌঁছন। বেজিং বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান চীনের উপ–পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান ওয়েইডং।
চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে মহম্মদ ইউনুস চীনের ঋণের সুদের হার কমানো এবং চীনা অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলিতে প্রতিশ্রুতি ফি মকুব করার জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানান। চীনা ঋণের সুদের হার ৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১–২ শতাংশ করার আহ্বান জানিয়েছেন ইউনুস। জাপান, বিশ্বব্যাঙ্ক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্কের পরে চীন বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহত্তম ঋণদাতা, যেখানে ১৯৭৫ সাল থেকে দেওয়া মোট ঋণের পরিমাণ ৭.৫ বিলিয়ন ডলার।
বৃহস্পতিবার বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার বার্ষিক সম্মেলন চলার ফাঁকে চিনের নির্বাহী ভাইস প্রিমিয়ার ডিং জুয়েশিয়াং–এর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ইউনূস। সেই বৈঠকে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে চীনের সহায়তা কামনা করেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। পাশাপাশি, চিনের রিচালিত প্রকল্পগুলিতে ফি মকুবের অনুরোধও করেছিলেন। ডিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতে, ইউনুস পোশাক, বৈদ্যুতিক যানবাহন, হালকা যন্ত্রপাতি, উচ্চ প্রযুক্তির ইলেকট্রনিক্স, চিপ উৎপাদন এবং সৌর প্যানেল শিল্পসহ চিনা উৎপাদন শিল্পের স্থানান্তরকে সহজতর করার জন্য বেজিংয়ের সাহায্য চান।
ফোরামের পাশাপাশি ইউনূস রাশিয়ার উপ–প্রধানমন্ত্রী আলেক্সি ওভারচুকের সঙ্গেও দেখা করেন। ওভারচুক বাংলাদেশে আরও গম এবং সার রপ্তানিতে মস্কোর আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। রাশিয়ার অর্থ সাহায্যে নির্মিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্যকারিতা নিয়েও দুজনে আলোচনা করেন। এছাড়া জাতিসংঘের প্রাক্তন মহাসচিব বান কি–মুনের সঙ্গেও দেখা করেন মহম্মদ ইউনুস। বোয়াও ফোরামের চেয়ারম্যান বাম কি–মুনের কাছে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সুষ্ঠু রূপান্তরের জন্য সমর্থন ও পরামর্শ চান।
ইউনুস অন্তর্বতী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কমপক্ষে ১৪টি চীনা প্রতিষ্ঠান ২৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে। যার ফলে বাংলাদেশে বেজিংয়ের প্রভাব ক্রমশ বাড়ছে। পশ্চিমী সাহায্য হ্রাস এবং ভারতের সাথে সম্পর্কের অবনতির মধ্যে ইউনুস আর্থিক সহায়তা এবং অবকাঠামোগত চুক্তি, যেমন চট্টগ্রামে চিনা অর্থনৈতিক অঞ্চল, নিশ্চিত করতে চাইবেন। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো এবং কৌশলগত প্রকল্পগুলিতে চীনের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ হবে, বেজিংয়ের ভারতের নিকটবর্তী প্রতিবেশী অঞ্চলে বিস্তৃত অবস্থানের কারণে। বেজিংও চায় ঢাকা চীন নীতিকে সমর্থন করুক। ২০০৫ সালে বিএনপি–র খালেদা জিয়ার আমলে ঢাকা চিনকে সমর্থন করেছিল। কিন্তু ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিনের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেননি। অতএব, ইউনুসের চীন সফরের দৃশ্যপট একটি বৃহত্তর ভূ–রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়, যা ভারত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।


  • Tags:
❤ Support Us
গুম গ | ল্প রোব-e-বর্ণ
ধারাবাহিক: একদিন প্রতিদিন । পর্ব ৫ পা | র্স | পে | ক্টি | ভ রোব-e-বর্ণ
পথ ভুবনের দিনলিপি । পর্ব এক ধা | রা | বা | হি | ক রোব-e-বর্ণ
error: Content is protected !!