- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ৬, ২০২৩
ঐক্যবদ্ধ থাকুন, নইলে ফায়দা তুলবে বিভেদকামী শক্তি।ভার্চুয়াল সভা থেকে বার্তা মমতার
অনেক কুৎসা হচ্ছে, হবে, তাতে কান দেওয়া ঠিক হবে না। সংখ্যালঘুরা বিভক্ত হলে লাভ হবে বিজেপির। বুধবার দলের সংখ্যালঘু সেলের সংহতি সভায় মোবাইল বার্তায় এই বার্তা দিলেন তৃণমূলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘অনেক কুৎসা হচ্ছে। তাতে কান দেবেন না। আপনারা বিভক্ত হলে বিজেপির লাভ। আজকে শপথ নেওয়ার দিন। ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দিন।’’
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বরই বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছিল। সেই দিনটিকে মনে রেখেই তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেল মেয়ো রোডে সংহতি সমাবেশ করেছিল বুধবার। কিন্তু উত্তরবঙ্গ সফরের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সশরীরে এই সভায় আসতে পারেননি। তিনি ফোনে ভাষণ দিয়েছেন। রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস মাইকের সামনে সেই ফোন ধরে মমতার কথা শোনান সমাবেশে আসা জনতাকে।
তিন রাজ্যের ভোটের ফল নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘‘ভোট ভাগাভাগির কারণে ওখানে বিজেপি জিতে গিয়েছে। ওটা বিজেপির জয় নয়। একত্রিত থাকলে বিজেপিকে হারানো সম্ভব। বাংলা চায় বিজেপির পরাজয়। বাংলা চেয়ারের জন্য নয়, মানুষকে বাঁচানোর জন্য লড়াই করবে। আবার খেলা হবে। বিজেপিকে হটাও, বিভেদ দূর করো।’’
সেই সঙ্গে সংখ্যালঘুদের মধ্যে যাতে কেউ বিভাজন না করতে পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক করেছেন মমতা। তৃণমূলনেত্রী মমতা বলেন, ‘‘ধর্মস্থানকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু কেউ কেউ ধর্মস্থানের নাম করে ভুল বোঝাচ্ছে।’’
রাজনৈতিক অভিজ্ঞরা বলছেন, মমতা নাম না করলেও আসলে নিশানা করতে চেয়েছেন ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা তথা আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে। নওশাদ বেশ কয়েক দিন ধরেই বলছেন, তাঁর দল চাইলে তিনি ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে লড়বেন। আবার পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকিও সম্প্রতি বলেছেন, তিনি ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী দেবেন। উল্লেখ্য, পুজোর আগে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মমতা যে ইমাম-মোয়াজ্জেমদের নিয়ে সভা করেছিলেন, সেখানেও তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি চাই না ফুরফুরা শরিফ রাজনীতি করুক। যেমন চাই না বেলুড়মঠ রাজনীতিতে যুক্ত হোক।’’
❤ Support Us