- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ৩, ২০২৩
হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে নব জোয়ারে পদ্ম যোগ । তৃণমূলের বক্তব্য এটা বিজেপির বোধদয়। গেরুয়া শিবিরের পাল্টা দাবি, এটা রাজনৈতিক সৌজন্য

খাতায়-কলমে প্রবলভাবে রাজনৈতিক বিরোধী তারা। তা সত্ত্বেও দলীয় সংকীর্ণতার বেড়া ভেঙ্গে বিরল নজির গড়ল বিজেপি ও তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন পদ্ম শিবিরের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। পশ্চিমবাংলার রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে দলীয় হিংসা ও হানাহানি যেখানে প্রচলিত রীতি হয়ে উঠছে, তার সম্পূর্ণ ভিন্ন এক চিত্র দেখা গেল হাওড়ায়।
শনিবার থেকে শুরু হবে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচি । গ্রামীণ হাওড়া দিয়েই হবে তার সূচনা । রয়েছে পদযাত্রা, জনসভা, ভোটাভুটি।তারই প্রস্তুতি চলছিল জগৎবল্লভপুরে। উপস্থিত ছিলেন দলের একাধিক নেতা-কর্মী। আচমকাই সেখানে বিজেপির কর্মীদের নিয়ে এসে হাজির হন এলাকার ৩ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি সৈকত দেব। তার উদ্যোগে শ্রমিকদের চা- জলখাবারের ব্যবস্থা করা হয় । তারা যাতে ভালোভাবে তাঁদের কাজটা করেন সে ব্যাপারেও পরামর্শ দেন তিনি।
সৈকত বলেছেন, এখানকার সব ক’টি বুথে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তার দল জয় লাভ করেছে। যে মাঠে তৃণমূলের সভা হবে, তার মালিকরা বিজেপির পদাধিকারী। আগে এমন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি জায়গায় গোলমাল হয়েছে। তাই মনে হয়েছে, এখানে শান্তি বজায় রাখতে আগাম সহযোগিতার বার্তা দিই।
হাওড়া জেলা সদর বিজেপি সভাপতি মণিমোহন ভট্টাচার্যকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ওখানে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের খাবার ও জল দিতেই সৈকত গিয়েছিলেন। বিজেপির মজবুত সংগঠন রয়েছে ওখানে। কোনও অশান্তি ছড়ালে দলের ওপর যাতে কোনোমতে দায় না আসে, তাই তাঁরা সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসেছেন। ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুবীর চট্টোপাধ্যায় পদ্ম শিবিরের দাবিকে খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁর মতে, নবজোয়ার রাজ্যে জনপ্লাবনে পরিণত হয়েছে। ওঁরা পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পারছেন। হয়তো দলবদল করবেন। তাই এত আন্তরিকতা।
❤ Support Us