মধ্যপ্রদেশে দ্বিতীয় দফায় ফের আনুমানিক ৩৬ প্রার্থী নাম চূড়ান্ত করল বিজেপি

মধ্যপ্রদেশে দ্বিতীয় দফায় ফের আনুমানিক ৩৬ জন প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করলেন বিজেপি নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার বিজেপি-র মুখ্য নির্বাচন কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে ওই নামগুলিতে ঠিক হয় এবং তাতে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়। যদিও এখনও সরকারি ভাবে বিজেপির মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ্যে আনেনি। ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশে প্রথম দফায় ৩৯ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় আনুমানিক ৩৬ জন প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হল।

আসন্ন পাঁচ রাজ্যে যে নির্বাচন হতে চলেছে, তাতে একমাত্র মধ্যপ্রদেশেই ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। যদিও পাঁচ বছর আগে বিধানসভার লড়াইয়ে কংগ্রেসের কাছে পরাজয় স্বীকার করতে হয়েছিল বিজেপিকে। নির্বাচনের দু’বছর পরে তৎকালীন কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া অনুগামী কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করলে ওই রাজ্যে ফের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেন বিজেপির শিবরাজ সিংহ চৌহান। ফলে গোড়া থেকেই জ্যোতিরাদিত্যের অনুগামীদের টিকিট দেওয়ার প্রশ্নে চাপ রয়েছে দলের উপরে। যে কারণে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পুরনো বিজেপি নেতা এমনকি বিধায়ক পর্যন্ত বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। গতকালের বৈঠকে সিন্ধিয়া-ঘনিষ্ঠ রঘুরাজ কাসানাকে মোরেনা আসন থেকে টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিন্ধিয়ার আর এক পুরনো সহযোগী ইমারতি দেবী টিকিট পেতে চলেছেন ডাবরা কেন্দ্র থেকে, এমনটাই জানা যাচ্ছে। কমলনাথের ছিন্দওয়াড়া কেন্দ্র থেকে দাঁড় করানো হচ্ছে বিবেক সাহুকে।

এখনও পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট ঘোষিত হয়নি। তার আগেই মধ্যপ্রদেশে এ ভাবে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে ফেলা কিছুটা নজিরবিহীন ঘটনা বিজেপির মতো কর্মী নির্ভর দলে। দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রার্থীরা যাতে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে বাড়তি সময় পান, সে জন্য তড়িঘড়ি নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তা ছাড়া, প্রার্থীপদ নিয়ে দলে বিক্ষোভ মাথাচাড়া দিলে তা সামাল দেওয়ার প্রশ্নে যাতে হাতে পর্যাপ্ত সময় হাতে থাকে, সেই কারণেও প্রার্থীদের নাম আগেই জানিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল।

এদিকে বিজেপি বিরোধী “ইন্ডিয়া” জোটের তরফে বলা হচ্ছে, “মধ্যপ্রদেশে বিজেপি তাদের অভ্যন্তরীণ বিবাদে জর্জরিত। প্রার্থী তালিকা নিয়েও তারা জেরবার। তাই হাতে সময় নিয়ে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করছে দফায় দফায়, যাতে প্রার্থী তালিকা নিয়ে কোনও রকম সমস্যা হলে সামাল দেওয়ার জন্য হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকে। তা ছাড়া বিজেপি বিরোধী “ইন্ডিয়া” জোটকে ভয় পেয়েছে, তাই এসব করছে।”