Advertisement
  • দে । শ
  • মে ৩০, ২০২৪

বসিরহাটে শেষ প্রচারে শাসক–‌বিরোধী ‘‌অধিকারী’‌

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
বসিরহাটে শেষ প্রচারে শাসক–‌বিরোধী ‘‌অধিকারী’‌

বসিরহাটে শেষ প্রচারে ঝড় তুলে গেলেন শাসক–‌বিরোধী দলের দুই ‘‌অধিকারী’‌। তৃণমূলের হাজি নুরুলের সমর্থনে সভা করলেন অভিনেতা সাংসদ দীপক অধিকারি। অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের সমর্থনে সভা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ২ টি সভাতেই হাজির ‘‌আরম্ভ’‌ ডিজিটাল। প্রচারের শেষ দিনে অভিনেতা, সাংসদ দেব জনসভা উপচে পড়ল আঠারো থেকে আশির ভিড়ে। এদিন বসিরহাট কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের সমর্থনে বসিরহাটের প্রান্তিক ময়দানে জনসভা এবারের প্রচার শেষ করেন দেব। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন, প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম, জেলা চেয়ারম্যান সরোজ ব্যানার্জি, বিধায়ক সপ্তর্ষি ব্যানার্জি, পুরপ্রধান অদিতি মিত্র, তৃণমূল নেতা সুরজিৎ মিত্র প্রমুখ। দেবকে কাছ থেকে দেখার জন্য সবাই ভিড় করেন। দেব মঞ্চ থেকে হাত মেলান, অটোগ্রাফ দেন। এদিন দেব বলেন,  তৃণমূল কংগ্রেস কথা দিয়ে কথা রাখে। আমাদের নেত্রী মমতা ব্যানার্জি কথা দিয়ে কথা রাখতে জানেন। তিনি তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিয়ে ৬ মাসের মধ্যে লক্ষ্মীর ভান্ডার চালু করেছেন। লক্ষ্মী ভান্ডার কেবল তৃণমূলের মা বোনেরা পান না, বিজেপি, সিপিএম সব দলের ঘরে মা বোনেরা এই টাকা পাচ্ছেন। এই প্রকল্প বাংলার সব মানুষের জন্য হিন্দু মুসলমান সবার ঘরে যায়’।‌ অভিনেতা সাংসদ  বলেন, ‘‌এখন রাজনীতি হয়ে গেছে ধর্ম নিয়। যখনই কোন দল কোন কাজ করে না তখন নেতারা ধর্মকে সামনে নিয়ে আসে। মানুষ আর কোন কথা বলে না।’‌ দেব বলেন, ‘‌যদি ভোট দিয়ে ধর্মের হাতকে শক্ত করেন তাহলে পাড়ায় পাড়ায় মন্দির হবে, মসজিদ হবে। স্কুল হবে না, হাসপাতাল হবে না , রাস্তা হবে না, কোন উন্নয়ন হবে না।’‌ তিনি বলেন, বাংলায় আমাদের  সরকারের প্রকল্প প্রত্যেকটা মানুষের জন্য। অভিনেতা সাংসদ দেবের মার্জিত ভাষণে মুগ্ধ সকলেই।

অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে এদিনও তুলোধোনা করে গেছেন স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই  তবে সভায় তেমন লোক সমাগম হয়নি।  বসিরহাট কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের সমর্থনে শেষ প্রচার এভাবে মাঠে মারা যাবে তা কেউ ভাবেনি। ওই মাঠেই তৃণমূল নেতা অভিষেক ব্যানার্ডি সভা করে যাওয়ার কিছুদিন পরে বসিরহাটে এসে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা  শুভেন্দু অধিকারি চ্যালেঞ্জ করেছিলেন ওই মাঠেই তিনি সভা করবেন। কিন্তু আজকে সভার  হাল দেখে হতাশ বিজেপি নেতা, কর্মী থেকে শুভেন্দু স্বয়ং। সাফাই দিতে তাঁকে বলতে হয়, ২ টি বিধানসভার কয়েকটি মন্ডল কমিটি নিয়ে সভা হচ্ছে। এদিন শুভেন্দুর সভার জন্যে মাঠের এক তৃতীয়াংশ ব্যবহার করা হয়। দু’‌ আড়াই হাজার  মানুষের জনসভায় হাজির ছিলেন দলের প্রার্থী রেখা পাত্র, সহ প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল, অর্চনা মজুমদার, রুদ্রনীল ঘোষ সহ রাজ্যের একাধিক বিজেপি বিধায়ক ও নেতা নেত্রীরা। ‌এদিনের সভায় যে সন্দেশখালি নিয়ে এত কান্ড, সেই সন্দেশখালি নিয়ে কোন কথা বলেন নি শুভেন্দু। গঙ্গাধর কয়াল, মাম্পি দাস, রেখা পাত্রদের ভিডিও বা সুজয় মাস্টারের অডিও নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য করেন নি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাতে দলের কর্মীরা অনেকেই  অবাক হয়েছেন। ‌‌এদিন শুভেন্দু বসিরহাটের তৃণমূল নেতাদের দেখে নেবার হুমকি দেন।  তৃণমূল নেতা বাদল মিত্র, খালেক মোল্লার নাম করে শুইয়ে দেবার কথা বলেন। ভোটের আগে আজ ও কাল রাতে রাজ্য পুলিশ  গ্রামে ঢুকলে মহিলাদের শাঁখ ও পুরুষদের বাঁশি বাজানোর নিদান দেন শুভেন্দু। এদিনও শুভেন্দু অধিকারি বসিরহাটের জেলা নেতাদের নাম করে হুমকি দিয়েছেন।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!