Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩

পুলিশি হয়রানি থেকে বাঁচতে আদালতের দারস্থ ইডি। মৌখিক আশ্বাস কলকাতা হাইকোর্টের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
পুলিশি হয়রানি থেকে বাঁচতে আদালতের দারস্থ ইডি। মৌখিক আশ্বাস কলকাতা হাইকোর্টের

নিয়োগ দুর্নীতি মামলা করতে গিয়ে ইডিকে হয়রান হতে হচ্ছে।এই মর্মে  অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। ইডির আবেদনে কলকাতা হাইকোর্ট ইডিকে মৌখিক রক্ষাকবক দিয়েছে।

আমরা জানি নিয়োগ মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মৌখিকভাবে হয়রানি না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ইডি। কলকাতা হাই কোর্টে অভিষেকের রক্ষাকবচের আর্জির জবাবে তারা বলেছিল, কোনও কড়া পদক্ষেপ করা হবে না অভিষেকের বিরুদ্ধে। উল্লেখযোগ্য ভাবে সেই ইডিই বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিল নিজেদের “রক্ষাকবচ” -এর জন্য। হাই কোর্ট তাদের খালি হাতে ফেরায়নি। অভিষেকের মতো ইডিকেও “মৌখিক আশ্বাস” দিয়েছে আদালত। আপাতত সেটিই ইডির একমাত্র ভরসা বলে মনে করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার ইডির আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে বলেন, ‘‘তদন্তে নেমে হয়রানির শিকার হচ্ছেন ইডির কর্তারা।’’ এমনকি, বার বার ইডির অফিসারদের চিঠি পাঠিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে বলেও তিনি আদালতে অভিযোগ করেন। আদালতকে ইডির জানান, এ সব কিছুর মূলে রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা বলে পরিচিত লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডসের দফতরে ইডির তল্লাশির ঘটনা। লিপ্‌স অ্যান্ড বাউন্ডসের দফতরের কম্পিউটারে ১৬টি ফাইলডাউনলোড করা নিয়ে তাঁদের নানা দিক থেকে চেপে ধরছে কলকাতা পুলিশ।

এই  বিষয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইডির পক্ষে বলা হয়, ‘‘তদন্ত আটকাতে নানা দিক থেকে চেপে ধরা হয়েছে। আমরা তদন্ত করব নাকি আদালতে দৌড়ে বেড়াব। সব বিষয় নিয়ে আমাদের কোর্টে আসতে হচ্ছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে তদন্তের গতি।’’

ইডির এই আর্জি শোনার পর মামলা ফাইল করতে বলেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। পরে শুনানি চলাকালীন বিচারপতি, ইডির আইনজীবী এবং রাজ্যের আইনজীবীর মধ্যে একপ্রস্ত কথোপকথন হয়।

বিচারপতি জানতে চান, যে কম্পিউটারে ফাইল ডাউনলোড করা হয়েছে তার হার্ডডিস্ক কি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে?

ইডির আইনজীবী জানান, না করা হয়নি।

বিচারপতি তারপর রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন,  তা হলে ইডি যে অন্য উদ্দেশ্যে ওই ফাইল ডাউনলোড করেছে, এ কথা জোর দিয়েছে বলা হচ্ছে কী করে? কেনই বা ইডির অফিসারদের চিঠি পাঠানো হচ্ছে?

রাজ্যের আইনজীবী তখন বলেন,  ইডি চুপ করে থাকুক। ওই সব চিঠির উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

বিচারপতি তখন বলেন, এটা আবার হয় নাকি। একটি তদন্তকারী সংস্থা চিঠি দেবে অন্য সংস্থা চুপ করে থাকবে? এটা তো খারাপ দেখায়!

বিচারপতি অমৃতা সিনহা এর পরেই জানান, যে হেতু এ বিষয়ে মামলা ‘ফাইল’ করতে পারেনি ইডি, তাই আদালত সরাসরি কোনও নির্দেশ দেবে না। তবে নির্দেশ না দিলেও বিচারপতি বলেন, ‘‘আশা করব এর পরে আর ইডির অফিসারদের চিঠি পাঠাবে না কলকাতা পুলিশ। হয়রানির অভিযোগ বন্ধ হওয়া দরকার।’’
এখন দেখা যাক আদালতের মৌখিক আস্বাসের পর ইডির বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশ আর হয়রানি করে কি না।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!