Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩

কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধাদান থেকে কেন মানুষকে বঞ্চিত করা হল? রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল হাই কোর্ট

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধাদান থেকে কেন মানুষকে বঞ্চিত করা হল? রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল হাই কোর্ট

কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে রাজ্যের মানুষদের কেন বঞ্চিত করা হল? এবার এই নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। রাজ্যের কাছে রীতিমতো হলফনামা চাইল কলকাতা উচ্চ আদালত। সোমবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, রাজ্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও তা কেন্দ্রীয় ব্যবস্থার সমকক্ষ নয়। এ রাজ্যে কেন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধার বিষয় সাধারণ মানুষের থেকে আড়ালে রাখা হয়েছে? আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ওই বিষয়ে রাজ্য সরকারকে হলফনামা দিয়ে এই বিষয়ে জানাতে হবে।

সোমবার এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘কেন্দ্রীয় সুবিধা বন্ধ করে রাজ্য যে ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’ তৈরি করেছে, তার কাজ আদালতের কাছে স্পষ্ট নয়। রাজ্যের এমন পদক্ষেপের কারণ আদালতের কাছে পরিষ্কার নয়।’’

বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের সুবিধা থেকে রাজ্যের মানুষকে বঞ্চিত করার অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। সুকান্তর বক্তব্য, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রকল্প থেকে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করার জন্য ‘কমন সার্ভিস সেন্টার’ বা সিএসসি বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রায় ৪০ হাজার সিএসসি কেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে রাজ্যে। পরিবর্তে ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’ নামে একটি ব্যবস্থা চালু করেছে নবান্ন।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দাবি করেছিলেন, কমন সার্ভিস সেন্টার পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার ফলে অনেকে কাজ হারিয়েছেন। বিভিন্ন পঞ্চায়েত অফিসে কমপক্ষে দেড় লক্ষ ছেলেমেয়ের কর্মসংস্থানের সুযোগ ছিল এই প্রকল্পের মাধ্যমে। রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত রাজ্যের বহু বেকারদের বঞ্চিত করেছে। হাই কোর্টে সুকান্ত মজুমদারের আবেদন, পঞ্চায়েত অফিসগুলিতে কেন্দ্রের ওই পরিষেবা আবার চালু করা হোক। প্রায় ২০০টি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা নানা ভাবে পান রাজ্যের মানুষ। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পে মানুষকে সহযোগিতা করার জন্য পঞ্চায়েত স্তরে সিএসসি চালু করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এর মাধ্যমে পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে ই-সার্ভিসের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা জানতে পারতেন গ্রামীণ মানুষ। ২০২০ সালে রাজ্য ওই পরিষেবা তুলে দেয়।

সুকান্ত মজুমদারের করা এই জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যের হলফনামা চাইল হাই কোর্ট। এত দেরিতে কেন জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন সুকান্ত, তা নিয়ে প্রশ্নও তোলে হাই কোর্ট। প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘মামলকারী গত তিন বছরে আদালতে এলেন না। এত দেরি করে কেন এলেন? উনি তো সাংসদ, সংসদে বলতে পারতেন।’’

তবে শুধু ‘কমন সার্ভিস সেন্টার’ নিয়েই নয়, কেন্দ্রের বহু প্রকল্প থেকে যাতে এই রাজ্যের মানুষ কোনও সুবিধা না পান সেই ব্যবস্থা করেছে রাজ্যের সরকার, এমন অভিযোগ করেছে বিরোধী দলের নেতৃত্ব।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!