Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৫

সঞ্জয়ের ফাঁসি চেয়ে আবেদন, হাইকোর্টে বড় ধাক্কা রাজ্যের। সিবিআই-এর মামলাই জিইয়ে রাখল ‘আশা’

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
সঞ্জয়ের ফাঁসি চেয়ে আবেদন, হাইকোর্টে বড় ধাক্কা রাজ্যের। সিবিআই-এর মামলাই জিইয়ে রাখল ‘আশা’

আরজি কর-কাণ্ডে দোষী সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে রাজ্যের আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে গ্রহণ করা হয়েছে সিবিআইয়ের আবেদন।

আরজি কর মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে খেল রাজ্য। শিয়ালদহ আদালতের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আসামী সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে ফাঁসি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। এ দিন রাজ্যের করা সে মামলা গ্রহণই করল না হাইকোর্ট। ফাঁসির আবেদন চেয়ে মামলা করার অধিকার একমাত্র তদন্তকারী সংস্থা অর্থাৎ সিবিআইয়ের রয়েছে, রাজ্যের সে অধিকার নেই বলে জানিয়ে দিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে যৌন নির্যাতন করে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় শিয়ালদহ আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাৎ ফাঁসির সাজার আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। অপরদিকে একই মর্মে মামলা দাখিল করে সিবিআইও।

এ মামলার গ্রহণযোগ্যতা কার? রাজ্যের না সিবিআইয়ের? এই মর্মে শেষ হয় সওয়াল জবাব। শেষে মান্যতা দেওয়া হয় সিবিআইয়ের আবেদনকেই। গত শুনানিতে নির্যাতিতার পরিবারের বক্তব্য ছিল তারা সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি চান না। এ দিন রায়দান স্থগিত রাখে আদালত।

আরজি কর হাসপাতালের নারকীয় ঘটনার ৫ মাস ৯ দিন পর গত ২০ জানুয়ারি সঞ্জয় রায়কে দোষীসাব্যস্ত করে — যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস। নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালে়ঞ্জ করে দোষীর ফাঁসি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে রাজ্য। মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে সিবিআই। পরিবারকে ছাড়া বিচার প্রক্রিয়া চালানো সম্ভব নয় বলে শোনায় আদালতও। নিহত চিকিৎসকের পরিবারের বক্তব্য শুনতে চান বিচারপতি। নির্যাতিতার পরিবার অবশ্য সিবিআই তদন্তে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তাঁরা বরাবর দাবি করে এসেছেন যে, এই ঘটনা সঞ্জয় রায়ের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে। সিবিআই মূল দোষীদের আড়াল করছে বলেও সন্দেহ করেছেন তাঁরা।

এর আগে উপযুক্ত সাজা ঘোষণা হয়নি এই মর্মে বিরোধিতা করে পুলিশ বা রাজ্যের মামলা করার অধিকার নেই বলে দাবি করে সিবিআই। এব্যাপারে তদন্তকারী সংস্থা যদি মনে করে সাজা উপযুক্ত হয়নি, তাহলে তারা-সহ সংশ্লিষ্ট পরিবার ও মূল অভিযুক্ত, যার বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা হয়েছে, এই তিনপক্ষই করতে পারে মামলা, দাবি সিবিআইয়ের তরফের আইনজীবীর। সরকারের তরফে আদালতে পাল্টা বলা হয়েছিল, প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশের কাছেই অভিযোগ জানিয়েছিল পরিবার। পুলিশই ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত করে। পরে আদালতের নির্দেশে সিবিআইয়ের উপর তদন্তভার বর্তালেও রাজ্যের হাত থেকে অধিকার কেড়ে নেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। সাজা নিয়ে রাজ্য তাদের আপত্তি জানাতে পারবে না এমন নিষেধাজ্ঞা নেই। তাই রাজ্যও আবেদন জানাতে পারে বলে সওয়াল করেছিলেন সরকারের আইনজীবীরা।

অন্যদিকে, জরুরি শুনানির আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁদের আর্জি ছিল, পুনরায় তদন্ত হোক। এই আর্জির জন্য দ্রুত শুনানির কথা জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া দিল না দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, নির্ধারিত দিনেই অর্থাৎ আগামী ১৭ মার্চ এই মামলার শুনানি হবে। নির্যাতিতার মা-বাবার দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে একা সঞ্জয় রায়ের জড়িত থাকা সম্ভব নয়। আদালতে রাজ্যের পাল্টা যুক্তি ছিল, তদন্ত এবং আইনশৃঙ্খলা রাজ্য সরকারের বিষয়। ফলে সঞ্জয়কে ফাঁসির শাস্তি দেওয়া হলে তাঁর সঙ্গে সঙ্গে যাবতীয় প্রমাণও লোপাট হয়ে যেতে পারে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!