- এই মুহূর্তে দে । শ
- সেপ্টেম্বর ২, ২০২৩
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আগে ভারতের সাথে বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত রাখার অনুরোধ জানাল কানাডা

প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকার গত মাসে ভারতের সাথে বাণিজ্য আলোচনা “স্থগিত” করার অনুরোধ করেছিল, তবে কানাডার এই নেতা জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য নয়াদিল্লিতে আসতে চলেছেন।
কানাডায় ভারতের হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মা নিশ্চিত করেছেন যে ট্রুডোর সরকার এই বাণিজ্য বিরতি প্রক্রিয়া শুরু করেছে এবং শুক্রবার প্রথম কানাডিয়ান প্রেস এই খবর প্রকাশ্যে এনেছে।
সঞ্জয় কুমার ভার্মা একটি ইমেল বিবৃতিতে বলেছেন, “কানাডিয়ান পক্ষ ভারতের সঙ্গে একটি প্রাথমিক-প্রগতি বাণিজ্য চুক্তিতে চলমান দ্রুতগতির আলোচনায় ‘বিরতির’ পরামর্শ দিয়েছে। যদিও আমি সঠিক কারণগুলি সম্পর্কে সচেতন নই, সম্ভবত, ‘বিরতি’ অংশীদারদের সাথে এই বিষয়ে আরও পরামর্শের অনুমতি দেবে।”
কানাডার একজন সরকারী আধিকারিক ট্রুডোর আসন্ন ভারত সফর সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, বাণিজ্য আলোচনা একটি দীর্ঘ এবং জটিল প্রক্রিয়া। কানাডা এই বাণিজ্যিক পরিস্থিতির সম্পর্কে অবহিত হওয়ার জন্য বাণিজ্য বিরতি দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সরকারী আধিকারিক এর বেশি কিছু বলতে চাননি। জার্মানিতে ২০২২ সালে গ্রুপ অফ সেভেন সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদি এবং জাস্টিন ট্রুডোর মধ্যে উভয় দেশের বাণিজ্যিক আদানপ্রদান নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।
তবে কানাডার বাণিজ্য মন্ত্রী মেরি এনজি-র মন্ত্রক এই বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে এই মুহূর্তে কিছু বলেনি। গত মে মাসে, ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল অটোয়া সফর করেন এবং তখন উভয় পক্ষই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যকলাপের বিষয়ে আশাবাদী বলে মনে হয়েছিল। এনজি বলেছিলেন, যে তারা প্রারম্ভিক-প্রগতি চুক্তি স্বাক্ষরের কাছাকাছি আসছে। এটি আসলে একটি প্রাথমিক চুক্তি যা অর্থনীতি-ব্যাপী চুক্তির পরিবর্তে কয়েকটি শিল্পের উপর গুরুত্ব নিক্ষেপ করবে।
তিনি আরও বলেছিলেন, “এটি বছরভর সময় নিয়ে হতে যাচ্ছে না। কানাডা এক দশক পিছিয়ে ভারতের সাথে বিরতিহীন বাণিজ্য আলোচনা করেছে, কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ট্রুডোর সরকার চীন থেকে দূরে থেকে তার অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করার প্রচেষ্টাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। ভারতের সাথে একটি বাণিজ্য চুক্তি সেই বৃহত্তর ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের অংশ ছিল।
ট্রুডোর দেশে ভারতের বাইরের বৃহত্তম শিখ জনসংখ্যা সহ একটি বিশাল ভারতীয় সম্প্রদায়ের বাসস্থান এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানিয়ে ভারতে একটি বাণিজ্য চুক্তি করার জন্য তাঁর সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বছর জি-২০-র সভাপতিত্ব করছেন এবং ট্রুডোর বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ইতিমধ্যে ভারতে তাদের সমমর্যাদার কর্তৃপক্ষের সাথে একত্রে আলোচনাও করেছে সারা গ্রীষ্মজুড়ে।
ট্রুডো আগামী সপ্তাহান্তে নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনের জন্য নয়াদিল্লিতে আসতে চলেছেন, যদিও তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে একক ভাবে দেখা করে কথা বলবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে মানবাধিকারের বিষয়গুলি উত্থাপন করবেন কিনা জানতে চাইলে, সরকারী আধিকারিক বলেন, কানাডার নেতা বিশ্বের প্রতিটি দেশের সাথে মানবাধিকারের বিষয়গুলি উত্থাপন করে আলোচনা করেন।
❤ Support Us