- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ৪, ২০২৩
রিজার্ভ থেকে উধাও ৮০০ কোটি, সকাল থেকে কলকাতায় সিবিআই তল্লাশি
৮০০ কেটি টাকা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে উবে গেছে। এই ব্যাঙ্ক জালিয়াতির তদন্তে সোমবার সকাল থেকেই কলকাতায় তল্লাশি শুরু করেছে সিবিআই। এদিন সকাল থেকেই নিউটাউন, দত্তাবাদের একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। তল্লাশি চলছে ব্যাঙ্ককর্মীদের বাড়ি বাড়ি। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে উধাও হওয়া টাকা কোন কোন অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে, তা বুঝতে সিবিআইয়ের এই তল্লাশি বলে জানা গিয়েছে।
২০২৩ সালের জুন মাসে তথ্য জানার আইনে জানা গিয়েছিল, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের টাঁকশাল থেকে কয়েক হাজার কোটির ৫০০ টাকা নোট আচমকা উধাও হয়ে গিয়েছে ২০১৫ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে। এই বিপুল পরিমাণ টাকা কোথায় গেল? তা জানতে তদন্তভার দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-র উপর। সেই নোটের হদিশ পেতে কলকাতার একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করল সিবিআই। খেয়া যাওয়া টাকার সন্ধানে সোমবার সকাল থেকে সিবিআই জোর তল্লাশি চালাচ্ছে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায়।
যে টাকা খোয়া গেছে তা একাধিক অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে বলে তদন্ত সূত্রে জানা গেছে। এই টাকার হদিশ পেতেই সিবিআই তল্লাশি শুরু করেছে। সোমবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে সিবিআইয়ের একাধিক দল মোট ২০ টি গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে। নিউটাউনের দুটি আবাসন, দত্তাবাদের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চলছে।
সিবিআই সূত্রের জানা গেছে, দত্তাবাদের বসবাসকারী রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মী সুপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই আধিকারিকরা। সুপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে বলছেন। তাঁর চাকরি সংক্রান্ত সব নথি পরীক্ষা করেছে।
নিউটাউনের ইউনি ওয়ার্ল্ড সিটি আবাসনের ফেক্সকো ৩ বিল্ডিংয়ের ৬০৪ নম্বর রুম এবং নিউটনের মুক্তধারা আবাসন, বিএ ৭০-তে তল্লাশি চলেছে। তবে সেখান থেকে কী উদ্ধার হয়েছে, তা এখনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানান হয়নি।
তবে ২০১৫, ২০১৬ সালে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে খোয়া যাওয়া ৮০০ কোটি টাকার হদিশ পেতে ২০২৩ সালের ডিসম্বর মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল কেন সেই প্রশ্ন খুব স্বাভাবিক ভাবেই উঠছে। প্রশ্ন উঠছে, বিষয়টি কি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানত না? কেন আরটিআই করার পর ৮০০ কোটি টাকা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে উধাও হয়ে যাওয়ার তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর তদন্ত শুরু হল?
❤ Support Us