- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩
“এক জাতি, এক নির্বাচন” নিয়ে কেন্দ্রের কমিটি গঠন, কমিটির নেতৃত্বে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি

ভারতে “এক জাতি, এক নির্বাচন” ব্যবস্থা কার্যকর হতে পারে কিনা, বা দেশব্যাপী একযোগে জাতীয় ও রাজ্য নির্বাচন হতে পারে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের সভাপতিত্বে একটি নতুন কমিটি গঠন করল কেন্দ্র। এই কমিটি “এক দেশ, এক নির্বাচন”, বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার ক্ষেত্রে একটি দীর্ঘমেয়াদী সংস্কারের বিষয়ে এই “এক জাতি, এক নির্বাচন” একটি বড় পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিচ্ছে। আগামী লোকসভার বিশেষ অধিবেশনেই কি “এক জাতি, এক নির্বাচন”, বিল আসছে? তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
এদিকে কেন্দ্র কোনও এজেন্ডা প্রকাশ না করেই ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর সংসদের বিশেষ অধিবেশনের ঘোষণা দেওয়ার একদিন পরেই এই “এক জাতি, এক নির্বাচন” নিয়ে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে কমিটি গঠনের কথা ঘোষণা করল কেন্দ্র। আশ্চর্য বিষয় হচ্ছে, লোকসভার বিশেষ অধিবেশনের দিন ঘোষণার পর তীব্র জল্পনা ছিল যে অধিবেশন চলাকালীন ‘এক জাতি, এক নির্বাচন’ সংক্রান্ত একটি বিল উত্থাপন করা হবে, তবে সরকারের পক্ষ “এক জাতি, এক নির্বাচন” নিয়ে কমিটি ঘোষণা হলেও বিশেষ অধিবেশনে “এক জাতি,এক নির্বাচন”, বিল আসছে কি না তা নিয়ে সরকার পক্ষের কেউ মুখ খোলেননি।
“এক দেশ, এক নির্বাচন” বলতে বোঝায় সারা দেশে লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন একযোগে অনুষ্ঠিত হওয়া, যেমনটি ভারতে প্রথম কয়েক দফা নির্বাচনের সময় হয়েছিল। বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে এই “এক জাতি, এক নির্বাচন”, বিষয়ে বক্তব্য রেখেছেন এবং ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহারে এই “এক জাতি, এক নির্বাচন”-এর কথা বলা হয়েছিল।
১৯৬৭ সাল পর্যন্ত ভারতে একযোগে নির্বাচন পরিচালনার নিয়ম ছিল এবং এইভাবে চারটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৬৮-৬৯ সালে কিছু রাজ্যের বিধানসভা আগাম ভেঙ্গে যাওয়ার পর এই একযোগে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। লোকসভাও, প্রথমবারের মতো, ১৯৭০ সালে নির্দিষ্ট সময়ের এক বছর আগে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল এবং ১৯৭১ সালে অন্তর্বর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
২০১৪ সালে বিজেপি দলের লোকসভা নির্বাচনী ইশতেহারে একই সাথে বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচন করার জন্য একটি পদ্ধতি তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
ইশতেহারের ১৪ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছিল, “বিজেপি অপরাধীদের নির্মূল করতে নির্বাচনী সংস্কার শুরু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিজেপি অন্যান্য দলগুলির সাথে পরামর্শের মাধ্যমে, বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচন একই সাথে করার পদ্ধতি তৈরি করতে চাইবে। নির্বাচনী খরচ কমানোর পাশাপাশি রাজনৈতিক দল এবং সরকার উভয়ের জন্যই, এটি রাজ্য সরকারের জন্য নির্দিষ্ট স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে। আমরা বাস্তবসম্মতভাবে ব্যয়ের সীমা সংশোধনের দিকেও নজর দেব।”
প্রধানমন্ত্রী মোদি ২০১৬ সালে একযোগে নির্বাচনের বিষয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরপরই, তিনি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি সর্বদলীয় বৈঠকও ডেকেছিলেন। বেশ কয়েকটি বিরোধী দল বৈঠকটি এড়িয়ে গেছে।
❤ Support Us