- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- নভেম্বর ১, ২০২২
নাগরিকত্বকে হাতিয়ার করেই গুজরাট জয়, গেরুয়া লক্ষ্যে ঢাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নয়া বিজ্ঞপ্তি
গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নতুন ঘোষণা, মেহসানা এবং আনন্দ জেলায় শরনার্থী অমুসলিমদের দেওয়া হবে নাগরিকত্ব

আগামী ডিসেম্বরেই মোদী-শাহের রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন । এই আবহেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে গুজরাটে আসা অমুসলিমদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন,১৯৫৫ অনুযায়ী এই নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরাষ্ট্র মন্ত্রক। পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে বহু শরনার্থী গুজরাটের মেহসানা ও আনন্দ জেলায় বাস করছেন । ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই তিন দেশ থেকে যেসব অ-মুসলিমরা এসেছে তাঁদেরই নাগরিকত্ব দিতে চায় নরেন্দ্র মোদীর সরকার ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে সোমবার গুজরাটের মেহসানা এবং আনন্দ জেলার জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনেই আপাতত বাংলাদেশ পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন পুরনো নাগরিকত্ব আইনে নাগরিকত্ব দেওয়ার এই নির্দেশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এই সংশোধনী আইনের অধীনে নতুন নিয়মগুলি এখনও তৈরি হয়নি। তাই গুজরাটের জেলাশাসকদের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে কোনও ব্যক্তিকে নাগরিক হিসেবে আবেদন নথিভুক্তির সময় সব শর্ত অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
স্বাধীন ভারতে ১৯৫৫ সালে তৈরি হয়েছিল নাগরিকত্ব আইন। তারপর ২০১৯ সালের ১১ই ডিসেম্বর সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হয়। সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হওয়ার পরই দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। বিল পাশ হওয়ার পরপরই সংশোধনী আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক ব্যক্তি আবেদন করেন। ২২০টি হলফনামা জমা পড়েছে। সেই হলফনামা গুলি খতিয়ে দেখতে দুই আইনজীবীকে দায়িত্ব দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই আবেদনের পরবর্তী শুনানি হবে ৬ ডিসেম্বর। আদালতের বিচারাধীন বিষয় বলে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ এখনও কার্যকর করেনি কেন্দ্রীয় সরকার ।
সোমবার প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট এবং বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর বেঞ্চে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানি হয়। শুনানিতে মামলা আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতকে কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, এই আইন অসম কিংবা উত্তর-পূর্বের অন্য রাজ্যের স্থানীয়দের সাংস্কৃতিক অধিকারকে লঙ্ঘন করে না। এব্যাপারে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা অসম ও ত্রিপুরার আবেদনের উত্তর দিতে সময় চেয়ে নিয়েছেন।
❤ Support Us