- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ২২, ২০২৩
বছর শেষের আগেই রাজ্য কোষাগারে কেন্দ্রীয় করের আগাম কিস্তি
উৎসবের মরশুম শুরুর আগেই নতুন বছরের দরজায় দাঁড়িয়ে কর হস্তান্তরের ৭২ হাজার ৯৬১ কোটি ২১ লক্ষ টাকা রাজ্যগুলিকে দিল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। তবে এই করে টাকা “তরিকত কিস্তি” বলে নির্মলা সীতারমনের মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর রাজ্যগুলোকে এই করের টাকা দিয়েছিল কেন্দ্র। ফের ১০ জানুয়ারিতে দেবে। তবে এই কর হস্তান্তরকে “রুটিন” বলে দাবি করে রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, “কর হিসেবে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের যে পাওনা, তার একটি অতিরিক্ত কিস্তি কেন্দ্র দিল। এর মধ্যে নতুনত্ব খোঁজার কিছুই নেই।” অর্থাৎ রাজ্যের বক্তব্য এটা রাজ্যের হকের পাওনা।
রাজ্যের জনসংখ্যার নিরিখে কোন রাজ্য কত কর কাঠামোর টাকার কত অংশ পাবে তা ঠিক হয়। সেই হিসেবে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশ পেয়েছে ১৩ হাজার ৮৮ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিহার, ৭ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা। তৃতীয় মধ্যপ্রদেশ, ৫ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা। চতুর্থ স্থানে রয়েছে বাংলা, ৫ হাজার ৪৮৮ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা।
তবে এই টাকার মধ্যে জিএসটির কাঠামো অনুযায়ী রাজ্যের কেন্দ্রের কাছে যে পাওনা, সেই টাকার অংশ নেই। আয়কর-সহ অন্যান্য খাতে রাজ্যগুলি থেকে কেন্দ্র যা সংগ্রহ করে, তার একটি অংশ রাজ্যগুলিকে দেওয়া হয়। প্রতি মাসের ১০ তারিখের আগে পিছে এই টাকা দেয় কেন্দ্র। তবে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, নতুন বছর শুরু হওয়ার আগে এই টাকা অতিরিক্ত কিস্তি বাবদ দেওয়া হল রাজ্যগুলিকে। কেন্দ্রের কথায় এই অর্থ উৎসবের আগে রাজ্যগুলিকে কেন্দ্র দিয়েছে।
কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকারের বিরুদ্ধে বাংলার শাসকদল তৃণমূল যে সমস্ত বিষয়ে বঞ্চনার অভিযোগ করে চলেছে, সদ্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৯জন সাংসদ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে বৈঠক করে বাংলার বকেয়ার দাবি জানিয়ে এসেছেন তার মধ্যে যেমন ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, সড়ক যোজনা রয়েছে, তেমনই রয়েছে জিএসটি বাবদ বকেয়া। তবে কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে উৎসবের মরশুমে যে টাকা দিল সেই টাকার সঙ্গে জিএসটি কাঠামোর কোনও সম্পর্ক নেই। তাহলে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর দাবি মতো জিএসটি বাবদ রাজ্যের প্রাপ্যের টাকা এবং ১০০দিনের কাজ, আবাস, রাস্তা, গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশনের টাকা কেন্দ্র আটকে রেখেছে কেন?
❤ Support Us