- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- নভেম্বর ৪, ২০২৪
আরজি কর কান্ডে ধৃত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন। বিচার প্রক্রিয়া শুরু ১১ নভেন্বর থেকে

আরজি কর হাসপাতালে নক্কার জনক নারী নিগ্রহ এবং হত্যার ঘটনার ৮৭ দিন পর শুরু হলো বিচার প্রক্রিয়া । সোমবার শেয়ালদা আদালতের এজলাসে সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটের ভিত্তিতে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় । ১১ নভেন্বর থেকে প্রতিদিন আদালতে এই মামলার শুনানি হবে ।
সোমবার দুপুরেই শিয়ালদা আদালতে নিয়ে আসা হয় আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মামলায় অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে । আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত -১ এ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৬ এবং ৩০২ ধারায় চার্জ গঠন করা হয়েছে।
একই সঙ্গে তিনটি বিচারালয়ে একই সঙ্গে এই ঘটানার মামলা চলছে। পাঁচ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি রয়েছে। আলিপুরে সিবিআই বিশেষ আদালতে চলছে আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার শুনানি। অন্যদিকে শেয়ালদা আদালতে সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটের ভিত্তিতে, চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হলো।
চার্জশিটে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছিল, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারই যে আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় জড়িত, তার একাধিক প্রমাণ পাওয়া গেছে । সংগৃহীত বয়ান, ভিডিয়ো এবং ফরেন্সিক বা সায়েন্টিফিক রিপোর্টের ভিত্তিতে ধৃতের বিরুদ্ধে মোট ১১টি ‘প্রমাণ’-এর উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে । কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে খবর, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে কয়েকদিনের মধ্যেই আর একটি চার্জশিট পেশ করবেন তদন্তকারী অফিসাররা। সিবিআই এর দাবি তাঁরা অভিযুক্তকে প্রমাণ লোপাট এবং ষড়যন্ত্রে সাহায্য করেছেন ।
আজ আদালত চত্ত্বর থেকে বেড়নোর সময়, প্রিজন ভ্যান থেকে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সংবাদ মাধ্যমের সমানে দাবি জানান যে, তিনি নির্দোষ । সরকার এবং ডিপার্টমেন্টের নাম করে অভিযোগ করতে থাকেন তিনি । তিনি বলেন, ‘আমি এত দিন চুপচাপ ছিলাম। কিন্তু আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমাকে ডিপার্টমেন্ট চুপ থাকতে বলেছে । ‘
অন্যদিকে, সোমবার আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসক হত্যার বিচারের দাবিতে সিজিও কমপ্লেক্স ঘেরাও করেন প্রতিবাদী মহিলারা। ‘জাগো নারী জাগো বহ্নিশিখা’ নামক এক সংগঠনের ডাকেই এই সমাবেশ। তাঁদের দাবি, প্রায় তিন মাস অতিক্রান্ত হলেও এখনো বিচার পাননি নির্যাতিতা, পাশাপাশি এই মামলায় সিবিআইয়ের দেওয়া বন্ধ খাম প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন, সেখানে কী বলা হয়েছে তা জনসমক্ষে প্রকাশের কথাও বলেন ।
❤ Support Us