Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • মে ৩১, ২০২৩

অসামরিক নির্মাণ না সীমানা লঙ্ঘনের প্রচেষ্টা ? লাদাখ সীমান্তে চিনা তৎপরতার দাবিকে ঘিরে সংশয়

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
অসামরিক নির্মাণ না সীমানা লঙ্ঘনের প্রচেষ্টা ?  লাদাখ সীমান্তে  চিনা তৎপরতার দাবিকে ঘিরে সংশয়

লাদাখ সীমান্তে তৎপরতা বাড়াচ্ছে লাল ফৌজ।  ডেমচকে সীমানা লঙ্ঘনের যাবতীয় প্রস্তুতি নিছে তারা। এমনই এক অভিযোগ করেছেন  লে জেলার  স্থানীয় এক রাজনীতিবিদ। তাঁর বক্তব্য হল, গত ১২ বছরে ভারতীয় সীমান্তে অবস্থিত জোরাওয়ার দুর্গকে পর্যবেক্ষণ শিবিরে পরিণত করেছে চিন সেনা। এ বিষয়ে বিভিন্ন ছবি সামাজিক প্রচারমাধ্যমে  দিয়েছেন তিনি।  সত্যতা অবশ্য যাচাই করে দেখা হয়নি। তবে এমন অদ্ভুত দাবি নিয়ে এলাকাতেই প্রশ্ন দেখে দিয়েছে।

লেহ জেলার জনৈক রাজনীতিবিদ আরো বলেছেন ২০১০ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জোরাওয়ার কেল্লার মালিকনার পরিবর্তন ঘটেছে। এককালের দুর্গ এখন দ্বিতল বিশিষ্ট পর্যবেক্ষণ স্তম্ভে পরিণত হয়েছে। সেখানে লাল ফৌজের পক্ষ থেকে যাবতীয় সামরিক নির্মাণ কার্য চালানো হচ্ছে। সেই সময় জোরাওয়ার থেকে ভারতীয় সেনার গতিবিধির ওপর নজর রাখছে গণমুক্তি ফৌজ। মূল ধারার কোনো সংবাদ মাধ্যমে এব্যাপারে অবহিত নয়। তাই কেউ জানে না চিন সীমানা লঙ্ঘন করে কতদূর পর্যপন্ত অগ্রসর হয়েছে। তাঁর আশঙ্কা, আর কিছু দিনের মধ্যেই তাদের এলাকা চিনা সেনার দখলে চলে যাবে। এ নিয়ে কারোরই কোনো মাথাব্যথা নেই। ভারত সরকার অবশ্য এখনো এনিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

সম্প্রতি , সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী , প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ৬-৭ কিমি দূরে আদর্শ গ্রাম বানানোর উদ্যোগ নিয়েছে বেজিং। যার নাম তারা দিয়েছে জিয়াওকাং । লাদাখ থেকে উত্তরাখণ্ড ও অরুণাচল সীমান্ত সব জায়গাতেই সমৃদ্ধ শালী জনবসতি গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে জিনপিং প্রশাসন। বহু জনপদ তৈরি করা হলে তাদের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করতে হয়। এ অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতি এমনই যে সে কাজ করা যথেষ্ট দুরূহ। তবে, লাল ফৌজের উদ্যোগে খামতি নেই। উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় সে কাজ এগিয়ে  চলছে। নিরাপদে যাতে কাজ করা যায় তার জন্য প্রতিনিয়ত চলেছে গণমুক্তি ফৌজের টহলদারি। এমন পদক্ষেপের সঙ্গে ভারতীয় সীমানা লঙ্ঘনের সম্পর্ক কতটা তা প্রমাণ সাপেক্ষ। তাই এ সম্পর্কে আগাম কোনো সিদ্ধান্তে আসা অনুচিত।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!