- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ২২, ২০২৪
দলীয় কোন্দল রুখতে কঠোর মমতা দুই কাউন্সিলরকে শো-কজের চিঠি ঘাস ফুল শিবিরের

সরকার চালাতে এবার শক্ত হাতে দলের রাশ ধরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটের পর থেকেই প্রশাসন ও দলকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য তিনি সচেষ্ট হয়েছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাময়িক ‘ছুটি’ নেওয়ার পর দল ও রাজ্য শাসনের ক্ষেত্রে একাধিক বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
লোকসভা ভোট মিটতে তৃণমূল শিবিরে একাধিক গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। দলের আভ্যন্তরীণ অশান্তির জেরে কোথাও কোথাও বোমাবাজির খবর এসেছে। বিরক্ত দলনেত্রী শুক্রবার তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে ডেকে পাঠান। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, অশান্তির পিছনে যে বা যারা দায়ী, তাঁদের প্রত্যেককে শো-কজ করতে হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গী সুব্রত বক্সী । শুক্রবার তিনি ১১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্বরাজ মণ্ডল ও ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারকেশ্বর চক্রবর্তীকে দলের তরফে শো-কজের চিঠি ধরিয়ে দেন।পাশাপাশি দক্ষিণ কলকাতা শহরতলির নেতা অরূপ বিশ্বাসকে ওই চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য,ওই দুই কাউন্সিলর অরূপ বিশ্বাসের এলাকার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি।
গত মঙ্গলবার পাটুলিতে এলাকার তৃণমূল দলীয় কার্যালয়ের অফিসে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে দু পক্ষের মধ্যে অশান্তির সূত্রপাত ঘটে। ওই অফিসে সপ্তাহে অন্তত একদিন বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার বসেন। বাকি দিন কাউন্সিলর বসেন। স্বরাজকে তাঁরই দলের লোকজন মারধোর করে কান ফাটিয়ে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রক্তাক্ত স্বরাজ বাবুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আগেও দুই নেতার মধ্যে অশান্তি হয়েছিল । কিন্তু তখন অরূপ বিশ্বাস ব্যাপারটিতে মধ্যস্থতা করলেও ভিতরের চেহারা যে আদৌ পাল্টায়নি তা গত মঙ্গলবারের ঘটনায় স্পষ্ট । তবে শুধু একটি এলাকার ক্ষেত্রে নয় । এখন বহু অঞ্চলেই তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনা মাথাচাড়া দিচ্ছে। লোকসভা ভোটে সামগ্রিক ফল ভালো হলেও পুরসভা ও বিধানসভাওয়াড়ি ক্ষেত্রে বিরোধী শিবির তৃণমূলকে টেক্কা দিচ্ছে । বিশেষত, অবাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় ঘাসফুলের ট্র্যাক রেকর্ড খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। ফলে এবার সতত সাবধানী দলনেত্রী মমতা। সেক্ষেত্রে, দলের কোনও কর্মীর ওপর বহিস্কারের খাঁড়া নেমে এলে অবাক হওয়ার কিছুই নেই।
❤ Support Us