স্বাস্থ্যসাথীতে খরচ আট হাজার কোটি টাকা।উৎসবের অনুদানে রাজ্যে বেড়েছে আর্থিক লেনদেন, বিরোধী প্রশ্নে বিধানসভায় জবাব মুখ্যমন্ত্রীর

রাজ্য সরকার কেন দুর্গাপুজোর সময় রাজ্যের ক্লাবগুলোকে অনুদান দেয়, কেন দীর্ঘ সামনে ধরে দুর্গাপুজো উদযাপিত হয় রাজ্যে, তা নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির প্রশ্নের অন্ত নেই। সোমবার ২০২৩-এ রাজ্যে দুর্গাপুজোর অনুদান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। বিধানসভায় বিরোধীদের সেই প্রশ্নের জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, যে পরিমাণ টাকা খরচ করা হয়েছে, তার চাইতে পুজোকে কেন্দ্র করে রাজ্যে লেনদেন হয়েছে বহুগুণ বেশি অর্থের। তাতে উপকৃত হয়েছেন সাধারণ ব্যবসায়ী-শিল্পীরা।

মুখ্যমন্ত্রী এর আগেও পুজোয় কেমন ব্যবসা হয়েছে সেই হিসাব দিয়েছিলেন গত মাসে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, পুজোয় ব্যবসা নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের একটি রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। ওই রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “ওদের দেওয়া প্রাথমিক হিসাব, গত বছর দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে ৩৮ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছিল। এ বার ওরা বলেছে, সেই পরিমাণটা বেড়ে ৭২ হাজার কোটি টাকা হয়েছে।” এরই পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, তাঁর ধারণা, এ বার ব্যবসার অঙ্ক ৮০-৮৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, এ বার দুর্গাপুজোয় ৩০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আর লেনদেন হয়েছে ৮২ হাজার কোটি টাকা। তবে এই হিসেবে বিরোধীদের দিতে গিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন,এই টাকা থেকেও   জিএসটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র !

মুখ্যমন্ত্রী এদিন রাজ্যে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে কত টাকা খরচ হয়েছে, সেই হিসাব দিয়ে বলেন, “স্বাস্থ্যসাথীতে আট হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য। এই প্রকল্পে অন্তত আট কোটি ৭৫ লক্ষ মানুষ উপকৃত হয়েছেন। এই পরিষেবায় যাতে কোনও গাফিলতি না হয়, তার জন্য কমিশন গঠন করা হয়েছে। সেই কমিশন ৬৩টি অভিযোগের নিষ্পত্তি করেছে।” মুখ্যমন্ত্রী এদিন বিধানসভায় জানিয়েছেন,  ৫৫টি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। তাদের লাইসেন্স বাতিল করা ও জরিমানা করা হয়েছে।

রাজ্যে এখন ৯৯ শতাংশ শিশুর হাসপাতালে জন্ম হয় বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি বলেন, এই সংখ্যাটা যাতে শীঘ্রই ১০০ শতাংশ হয়, রাজ্য সরকার সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে। দু’টি ক্যানসার হাসপাতাল তৈরির বিষয়টিও সোমবার বিধানসভায় জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে মুখ্যমন্ত্রী এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেন।