- এই মুহূর্তে দে । শ
- সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩
রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে নৈশভোজ শনিবার, একদিন আগেই দিল্লি পৌছচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপাল। থাকবেন বঙ্গভবনে

আজ শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুপুরের বিমানে দিল্লি রওনা হবেন। জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ভবনে নৈশভোজে তাঁর আমন্ত্রণ শনিবার রাতে। জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে আসা রাষ্ট্রনেতাদের ওই দিনই আপ্যায়ন করবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূ। একই সঙ্গে ওই নৈশভোজের আসরে রাষ্ট্রপতি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশের সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের। আমন্ত্রণ পেয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নৈশভোজে যোগ দিতে শনিবারই মমতার দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি পৌঁছচ্ছেন এক দিন আগেই, অর্থাৎ শুক্রবার।
নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরের বিমানেই কলকাতা থেকে দিল্লির রওনা হবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি রাজধানীতে পৌঁছে যাবেন আজ সন্ধ্যার আগেই। দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন চলবে শনি এবং রবিবার, দুদিন ধরে। যদিও বিভিন্ন দেশ থেকে রাষ্ট্রনেতারা ইতিমধ্যেই আসতে শুরু করেছেন দিল্লিতে। বুধবার থেকেই একে একে এসে পৌঁছচ্ছেন তাঁরা। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে শুক্রবার মমতাও পৌঁছে যাবেন দিল্লিতে।
কেন একদিন আগে দিল্লি পৌঁচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনীতির ময়দানে। মনে করা হচ্ছে কি জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের নৈশভোজের পাশাপাশি কোনও বাড়তি কাজ নিয়েই একদিন আগে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা।
সম্প্রতি দেশের নাম ‘ভারত’ হওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্র বনাম বিরোধীদের মধ্যে বিতর্ক চলছে। তা ছাড়া বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র পরবর্তী বৈঠকও হওয়ার কথা দিল্লিতে। বাংলার সরকার নিজেদের দাবি দাওয়া নিয়েও ইতিমধ্যে দিল্লি অভিযানের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তবে নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাজনৈতিক কারণ নয়, প্রশাসনিক প্রয়োজনেই একদিন এগিয়ে আনা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি যাওয়ার দিন।
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লিকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। তবে শনিবার থেকে আরও কড়াকড়ি শুরু হবে। নিয়ন্ত্রণ করা হবে যান চলাচল। কার্যত অঘোষিত কারফিউ জারি থাকবে রাজধানীতে। শর্ত আরোপ করা হবে বিমানের ওঠানামার ক্ষেত্রেও। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, নিরাপত্তার কারণে প্রায় দূর্গে পরিণত হওয়া নয়াদিল্লিতে নানা সমস্যার কথা ভেবেই প্রশাসনিক কারণে এক দিন এগিয়ে আনা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি যাত্রা।
জানা গেছে, দিল্লিতে পৌঁছে তৃণমূল নেত্রী থাকবেন চাণক্যপুরীর নতুন বঙ্গভবনে। এই মুহূর্তে বাংলার সরকারের সঙ্গে সংঘাতের আবহে জড়িয়ে থাকা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসও শুক্রবারই দিল্লি আসবেন। জানা গেছে রাজ্যপালও উঠবেন চাণক্যপুরীর নতুন বঙ্গভবনেই। রাষ্ট্রপতির নৈশভোজে রদজ্যপাল হিসাবে আমন্ত্রণ পেয়েছেন সি ভি আনন্দ বোস।
এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে, আপ নেতা অরবিন্দ কেজরীওয়াল শনিবার রাতেই দেখা করবেন তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে। মমতা, কেজরীওয়াল দু’জনই চাইছেন যত দ্রুত সম্ভব বিরোধী জোটের আসন সমঝোতার পর্বটি শেষ করতে। তবে মমতা ও কেজরি শাসিত রাজ্যে আসন সমঝোতা পর্ব ততটা সহজ নয় বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর সেই ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই সীতারাম ইয়েচুরি দিয়ে রেখেছেন।
❤ Support Us