- এই মুহূর্তে বৈষয়িক
- মার্চ ৩১, ২০২৩
২০৩০ সালের মধ্যেই ভারতের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা দুই ট্রিলিয়ন ডলার। বৈদেশিক বাণিজ্য নীতিতে দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের ।
এক্সপোর্ট এক্সেলেন্সের তালিকায় নেই কলকাতা , উত্তর প্রদেশের ৩, হরিয়ানার ১
চিত্র: সংবাদ সংস্থা
বাণিজ্যমন্ত্রক-সহ একাধিক মন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ভারত সরকারের বৈদেশিক বাণিজ্য নীতি প্রকাশ করলেন। ২০২৩ সালের বৈদেশিক বাণিজ্য নীতি প্রকাশ করে দাবি করা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত থেকে রফতানির অঙ্ক দুই ট্রিলিয়ন ডলারের পৌঁছবে।
এই সময়ে বিশ্বে আঞ্চলিক ক্ষেত্রে বহাল উত্তেজনাগুলি ছাড়াও রাশিয়া বনাম ইউক্রেনের যুদ্ধ, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির মতো বিষয়গুলি নিয়ে নতুন বৈদেশিক বাণিজ্য নীতিতে আলোকপাত করা হয়েছে কেন্দ্রের দাবি।
কেন্দ্রীয় সরকার বৈদেশিক বাণিজ্য নীতিতে পদ্ধতিগত পরিববর্তন এনেছে। এব্যাপারে বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল সন্তোষ কুমার সারাঙ্গি বলেছেন, ২০২৩ সালে বৈদেশিক বাণিজ্যে যে নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে, এর কোনও সমাপ্তি তারিখ নেই। ক্রমান্বয়ে এই নীতি কার্যকর করা হবে। প্রয়োজনে নীতি আপডেট করা হতে পারে।
শুক্রবার, ৩১মার্চ বৈদেশিক বাণিজ্য নীতি প্রকাশ অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে ছিলেন ডিজিএফটি সন্তোষ কুমার সারাঙ্গি। তিনি জানিয়েছেন, ২০২৩ আর্থিক বছরে রফতানির পরিমাণ ৭৬০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করছে। শতাংশের হিসেবে অনেকটা বেড়েছে রপ্তানি। কেননা ২০১৫-২০১৬ আর্থিক বছরে রফতানির পরিমাণ ছিল ৪৩৫ বিলিয়ন ডলার।
বৈদেশিক বাণিজ্যে সচিবালয় সূত্রে আরও কিছু তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। যেমন, ভারত থেকে ইলেকট্রনিক সামগ্রীর রফতানি অনেকটা বেড়েছে। প্রায় ১৬২ শতাংশ হারে। ক্যুরিয়ার সার্ভিসে প্রতি কনসাইনমেন্ট পিছু ৫ লক্ষ টাকাটা বাড়িয়ে ১০ লক্ষ টাকা করা হয়েছে।
নতুন বাণিজ্য নীতি ভারতকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার । দেশের আরও চারটি শহরকে রফতানির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। টাউন অব এক্সপোর্ট এক্সেলেন্সের মধ্যে রয়েছে ফরিদাবাদ, মোরাদাবাদ, মিজাপুর, বেনারস। কিন্তু কলকাতা নেই। ইতিমধ্যে দেশের ৩৯ শহর টাউন অব এক্সপোর্ট এক্সেলেন্সের তালিকার অন্তর্ভুক্ত।
❤ Support Us