- এই মুহূর্তে দে । শ
- জানুয়ারি ১৩, ২০২৪
এসএসকেএম ইস্যুতে শাসক দলের বিরুদ্ধে পথে নেমে প্রতিবাদ অধীরের
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির নিশানায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। এবার শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নিয়ে প্রতিবাদে রাস্তায় নামলেন বহরমপুরের কংগ্রেসে সাংসদ। শনিবার ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজার থেকে মিছিল করে এসএসকেএম -এর দিকে কংগ্রেসের কর্মীরা এগোয়। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রসে সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। মিছিল কিছুটা এগোতেই পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। তখনই রাস্তায় বসে পড়ে রাজ্যের শসাকদলকে নিশানা করে একের পর এক তোপ দাগতে শুরু করেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ।
অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “তৃণমূলের চোর-দুর্নীতিগ্রস্তরা এসএসকেএম হাসপাতালকে রিসর্টে পরিণত করেছে। বঞ্চিত হচ্ছেন গরিব, মুমুর্ষু রোগীরা। এমনকী শিশুদের আইসিসিইউ বেডও দখল করে রাখা হচ্ছে। একসময় এখানে জীবন বাঁচানোর সাধানা চলত। এখন এখানে কুকুরের ডায়ালিসিস হয়। দেশের সব থেকে পুরনো হাসপাতাল। হাসপাতাল কাদের, বাংলার মানুষকে ভাবতে হবে। অপরাধীদের সেফ হোম পরিণত হয়েছে পিজি হাসপাতাল। উডবার্ন ওয়ার্ড সন্ধের পর রিক্রিয়েশন সেন্টারে পরিণত হয়।”
গত কয়েকবছরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলবের পরপরই শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীকে তড়িঘড়ি কলকাতার এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হতে দেখা গিয়েছে। এই তালিকায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল, কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মদন মিত্র কে নেই? তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের এসএসকেএম-এ ভর্তি হওয়া নিয়ে বিরোধী দলগুলি থেকে শুরু করে আদালত সবাই সরব হয়েছে।
অধীর রঞ্জন চৌধুরীর এই অভিযোগের উত্তরে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “এসএসকেএম হাসপাতাল দেশের অন্যতম সেরা সরকারি হাসপাতাল, সারা দেশ তা জানে। সেই হাসপাতালের বিরুদ্ধে কুৎসা করে অধীর রঞ্জন চৌধুরী যদি আনন্দ পান পাবেন।”
❤ Support Us