- এই মুহূর্তে দে । শ
- সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩
কংগ্রেসই এই বিলের প্রথম উত্থাপক, দ্রুত কার্যকর হোক । মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে মন্তব্য সোনিয়ার

লোকসভার কংগ্রেস সংসদীয় দলের চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধি মঙ্গলবার সংসদে প্রবেশের সময় সাংবাদিকরা তাঁর কাছে ঐতিহাসিক ৩৩ শতাংশ মহিলা সংরক্ষণ বিল প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “এটা আবার কী? এটা আমাদের, সম্পূর্ণ নিজস্ব।” আজ মঙ্গলবার নতুন সংসদ ভবনে একসাথে ঐতিহাসিক যুগ্ম লোকসভা ও রাজ্যসভার প্রথম অধিবেশন বসছে দুপুরে। এই অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য সোনিয়া গান্ধি সংসদ ভবনে প্রবেশের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ৩৩ শতাংশ মহিলা সংরক্ষণ বিল প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করলেন সোনিয়া গান্ধি।
সূত্রের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, সোমবার সংসদের অধিবেশন শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক বসে। এই বৈঠকে মহিলা সংরক্ষণ বিল অনুমোদিত হয় নরেন্দ্র মোদির পৌরোহিত্য।
এই প্রসঙ্গে লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “আমরা চাই মহিলা সংরক্ষণ বিলটি দ্রুত সংসদে পেশ হোক এবং পাশ হোক। মহিলা সংরক্ষণ বিলের দাবি ইউপিএ সরকারের আমলে আমাদের নেত্রী উত্থাপন করেছিলেন। এই বিলটি আস্তে অনেক সময় নষ্ট হয়েছে, আমরা চাই এই বিলটি দ্রুত সংসদে পেশ হয়ে পাশ হোক এবং আইনে পরিণত হোক।”
এর আগে সোমবার কংগ্রেস জনসংযোগের দায়িত্বে থাকা জয়রাম রমেশ বলেন, “আমাদের দল সংবিধানের ১০৮ তম সংশোধনের মাধ্যমে মহিলা সংরক্ষণ বিলটি অনেকদিন আগে থেকেই বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছে। কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরে মহিলা সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে আসছে। আমরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই এবং বিলটির মধ্যে কী রয়েছে সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করছি।”
জয়রাম রমেশ বলেছেন, “বিশেষ অধিবেশনের আগে এই মহিলা সংরক্ষণ বিলটি নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা করা যেত এবং পর্দার আড়ালে রাজনীতির পরিবর্তে একটি ঐক্যমতে পৌঁছন যেত।”
এর ফলে সংরক্ষিত আসন বন্টন সংসদ কর্তৃক নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ দ্বারা নির্ধারিত হবে। তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত মোট আসনের এক তৃতীয়ংশ লোকসভা ও বিধানসভায় সেই গোষ্ঠীর মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এই সংশোধনী আইন শুরু হওয়ার ১৫ ব্যচর পরে মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণের অস্তিত্ব বন্ধ হয়ে যাবে। ২০১০ সালে রাজ্যসভা এই মহিলা সংরক্ষণ বিলটি পাশ করেছিল কিন্তু বিলটি লোকসভায় পাশ না হওয়ায় বাতিল হয়ে যায়।
❤ Support Us