শিবভোলার দেশ শিবখোলা
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
মুম্বইয়ে যখন বিজেপির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ঐক্যের ডাকে সোনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সীতারাম ইয়েচুরিরা এক সঙ্গে “ইন্ডিয়া” জোটের বৈঠক করে দেশ থেকে নরেন্দ্র মোদির সরকারকে অপসারিত করার ডাক দিচ্ছেন, তখন উত্তরবঙ্গের ধূপগুড়িতে তৃণমূল আর বিজেপির বিরুদ্ধে হাতে হাত ধরে বিধানসভা উপনির্বাচনে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
অধীর রঞ্জন চৌধুরী ধূপগুড়ির সভা থেকে বিজেপি ও তৃণমূলকে “শ্বাপদ” বলে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন। বলেছেন, “বাম ও কংগ্রেস সংসদে ১০০ দিনের কাজের বিষয়টি নিয়ে এসেছিল, আর আজ ১০০দিনের কাজের টাকা চুরি করে তৃণমূল বাংলাকে ১০০ দিনের কাজের থেকে বঞ্চিত করেছে। এখানে চাকরি চাইলে মার খেতে হয়। ধর্ষিতা হলে অভিযোগ জানান যায় না। একদিকে মোদি একদিকে দিদি, আমাদের শোষণ করছে।”
অধীর রঞ্জন চৌধুরীর পর বলতে উঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আরও বেশি সুর চড়ান সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, “বাংলার বিধানসভায় প্রায় এক ডজন বিধায়ক আছেন তাঁরা বিজেপি-র না তৃণমূলের সেটা বিধানসভার স্পিকার জানেন না। আবার লোকসভায় প্রায় আধ ডজন সাংসদ আছেন তারা কোন দলের সেটাও লোকসভার স্পিকার জানেন না।” পাশাপাশি এদিন মহম্মদ সেলিম বলেন, “বাংলার মানুষ আজ মুক্তি চাইছে। তৃণমূলের গুদামের মাল হয়ে যাচ্ছে বিজেপি। আইন আছে দুর্নীতি করলে জেলে যেতে হবে কিন্তু মোদির ইডি, সিবিআই ভাইপোকে কিছু বলবে না, তিনি বিদেশে গিয়ে দুর্নীতির টাকা পাচার করে আসবেন। এতো গুলি বিজেপি বিধায়ক আছেন, পারছে তৃণমূলের দুর্নীতি আটকাতে? ভোর রাতে পিকে-কে নিয়ে কেন বাবু গেলেন রাহুল গান্ধির কাছে? এই সবের হাত থেকে মানুষকে রেহাই দিতেই বাম-কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন ঈশ্বরচন্দ্র রায়। তিনি বিধানসভায় গিয়ে তৃণমূলের দুর্নীতিবাজদের এবং সাম্প্রদায়িক বিজেপি বিধায়কদের শাসন করবেন, যেমন অশান্ত ছাত্রদের শিক্ষকরা করেন।”
প্রশ্ন হচ্ছে, একই সময়ে বিজেপির বিরুদ্ধে যখন সীতারাম ইয়েচুরি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সোনিয়া গান্ধি বৈঠক করেন, ১৪ জনের সমন্বয় কমিটিতে যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম থাকার পরেও কোনও বিরোধিতা দেখা যায় না সিপিএম সাধারণ সম্পাদক ও সোনিয়া গান্ধির আচরণে তখন কী করে মহম্মদ সেলিম ও অধীরবাবুরা তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে ধূপগুড়িতে এক সুরে সভায় ভাষণ দেন?
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।
মিরিক নামটি এসেছে লেপচা ভাষার “মির-ইওক” শব্দ থেকে, যার অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া জায়গা।
15:34