- এই মুহূর্তে দে । শ
- এপ্রিল ৫, ২০২৩
আল আকসায় প্রার্থনা সভায় ইজরায়েলি পুলিশের হানা।রকেট ছুঁড়ে পাল্টা প্রতিবাদে গাজা।সীমান্তে বাড়ছে উত্তেজনা
বুধবার ভোরে, পূর্ব জেরুজালেমের প্রসিদ্ধ আল-আকসা মসজিদে অতর্কিতে হানা দিল ইজরায়েলি পুলিশ।রমজান মাসের উপাসনা চলছিল মসজিদে। অংশগ্রহণ করছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। সেই প্রার্থনা সভা থেকেই অন্ততপক্ষে ৪০০জনকে গ্রেফতার করে ইজরায়েলের পুলিশ। ধৃতরা সকলে্ই প্যালেস্তাইনের নাগরিক বলে জানা গিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইজরায়েলি পুলিশ যথেচ্ছভাবে টিয়ার গ্যাস এবং স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করেছে। ফলে আক-আকরা মসজিদে প্রার্থনারতদের অনেকেরই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এলাকায় ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যাওয়ায়। প্রার্থনাকারীদের ইজরায়েলি পুলিশ লাঠিপেটা করেছে এবং রাইফেলের বাড়ি মেরেছে বলেও অভিযোগ।
এদিন ভোরে এই ঘটনায় অন্ততপক্ষে ১২জন জখম হয়েছেন। এঁদের ভিতর গুরুতর জখম তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্যালেস্তাইনের অভিযোগ, ইজরায়েলি সেনা পবিত্র রমজান মাসে আক-আকসা মসজিদে ঢুকেছে প্রার্থনায় বাধা দিতেই। প্যালেস্তানীয়দের অনেককে মসজিদ থেকে তাড়িয়েও দিয়েছে ইজরায়েলের পুলিশ।
পাল্টা বিবৃতি দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, মসজিদে যাঁরা ঢুকেছিলেন, তাঁরা লাঠি, পাথর ও বাজি নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গোলমাল করার পরিকল্পণায় ছিলেন।তাঁদের মসজিদ থেকে বের করে দিতেই ইজরায়েলের পুলিশ আল-আকসা মসজিদ চত্বরে প্রবেশ করে।পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে যথেচ্ছভাবে পাথর ছোঁড়া হয়েছে। এতে এক পুলিশ অফিসারও জখম হয়েছেন।
পূর্ব জেরুসালেম ও ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে অশান্তি গত কয়েক মাস ধরে বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে ফের নতুন করে প্রসিদ্ধ আল-আকসা মসজিদে ইজরায়েলের পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
প্যালেস্তাইনের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আক-আকসা মসজিদে ইজরায়েল যা ঘটাল, তা গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। প্রার্থনাকারীদের ওপর এভাবে হামলা চালানো বরদাস্ত করা হবে না। প্রসঙ্গত, আল-আকসা মসজিদ গুরুত্বের নিরিখে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ধর্মস্থান।
ইজরায়েলের অভিযোগ, দক্ষিণ ইজরায়েলে রকেট হানা চালিয়েছে হামাস। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি রকেট ছোঁড়া হয়েছে। হামাস জানিয়েছে, ইজরায়েলকে জবাব দিতেই পাল্টা রকেট ছোঁড়া হয়েছে।সংবাদ সূত্রের খবর, ইজরায়েলের বিমান বাহিনীও গাজার একাধিক জায়গায় হামলা চালিয়েছে। গাজার বহু নাগরিক আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছেন।আক-আকসা মসজিদে ইজরায়েলি পুলিশের হানার তীব্র নিন্দা করেছে জর্ডন, ইজিপ্ট। দু’দেশের তরফেই বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। অন্য আরব দেশগুলিও ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে।
❤ Support Us