- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ৫, ২০২৩
শীঘ্রই ঘূর্ণিঝড় মিচাং এর ল্যান্ডফল অন্ধ্রে , চেন্নাইয়ে নিহত ৮
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মিচাং অন্ধ্র প্রদেশের বাপটলার কাছে ল্যান্ডফল হতে চলেছে। ঘূর্ণিঝড় মিচাং তামিলনাড়ুতে বৃষ্টির তাণ্ডব চালিয়ে অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে বাপটলার কাছে ল্যান্ডফল করতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত, চেন্নাইতে বৃষ্টির ফলে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সমুদ্রে ১ থেকে দেড় মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হবে বলে আবহাওয়া দফতর থেকে জানিয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই জলোচ্ছ্বাস দক্ষিণ উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশের নিচু অঞ্চলগুলিকে প্লাবিত করবে এবং বাপটলা এবং কৃষ্ণা জেলাগুলির উপর ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ প্রভাব পড়বে৷ ল্যান্ডফল হওয়ার সময় ঘূর্ণিঝড়টির গতিবেগ ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় থাকবে।
অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার তিরুপতি, নেলোর, প্রকাশম, বাপটলা, কৃষ্ণা, পশ্চিম গোদাবরী, কোনাসিমা এবং কাকিনাদা, এই ৮টি জেলায় সতর্কতা জারি করেছে। পুদুচেরিতে, উপকূলীয় অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, সেখানে মানুষের চলাচল সীমিত করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত।
মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন মোহন রেড্ডি রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন ঘূণিঝড়ের দাপট থেকে জীবন ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করতে, কারণ জীবন ও সম্পত্তি রক্ষাএকটি বড় চ্যালেঞ্জ, কারন ঘূর্ণিঝড়টি প্রতি ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন,যে সমস্ত জেলাগুলি ঘূর্ণিঝড়-আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা, সেই সমস্ত জপলার জন্য বিশেষ অফিসারদের নিয়োগ করা হয়েছে, পাশাপাশি উদ্ধার ও ত্রাণ কাজের জন্য প্রত্যেক ঘূর্ঙিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলার জন্য ২ কোটি টাকা করে উদ্ধার ও ত্রাণের জন্য ধার্য করা হয়েছে। নিচু এলাকা থেকে লোকজনকে ইতিমধ্যেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং তাদের থাকার জন্য ৩০০ টিরও বেশি ত্রাণ শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোমবার তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে কথা বলেছেন এবং তাদের কেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় সমস্ত সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। অমিত শাহ বলেন, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীদের পর্যাপ্ত মোতায়েন করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত দলগুলি আরও সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র এই ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা হিসাবে বলেছেন, অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলবর্তী শহরগুলিতে অত্যন্ত ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হবে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার হতে পারে।
প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়ের দপটে ছোট ও মাঝারি গাছ উপড়ে পড়া, ঝুপড়ি ও মাটির ঘর ভেঙে পড়া, টেলিফোন ও বৈদ্যুতিক খুঁটির আংশিক ক্ষতি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা গেছে চেন্নাইতে বৃষ্টি থেমেছে, তবে শহরের বেশিরভাগ এলাকা বৃষ্টির জলে নিমজ্জিত রয়েছে, নিচু এলাকায় বেশি পরিমাণে জল জমে আছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরির বেশিরভাগ জায়গায় মঙ্গলবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃষ্টির জল বিমান বন্দরের রানওয়েতে প্রবেশ করায় সোমবার বিমানগুলোর রানওয়ে বিমান উড়ানের উপযোগী ছিল না। মঙ্গলবার সকালে চেন্নাই বিমান বন্দর থেকে আবার চালু হয়েছে। বিমানবন্দরে আটকে পড়া যাত্রীদের কথা ভেবে বিমান বন্দর পরিষ্কার করার কাজ দ্রুততার সঙ্গে করা হয়েছে।
এদিকে ওড়িশা সরকারও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দক্ষিণের জেলাগুলিতে উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করেছে। সমস্ত উপকূলীয় এবং দক্ষিণ জেলা কালেক্টরদের সতর্ক করা হয়েছে এবং জেলেদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কারণ সমুদ্র উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
❤ Support Us