Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • মার্চ ২৫, ২০২৩

৪৩ দিনে অনশন প্রত্যাহার।ডিএ নিয়ে জারি থাকবে আন্দোলন, ঘোষণা সংগ্রামী যৌথ মঞ্চর

আগামী দিনে সরকারি কর্মীদের একগুচ্ছ কর্মসূচিতে মুখরিত হবে কলকাতার রাজপথ

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
৪৩ দিনে অনশন প্রত্যাহার।ডিএ নিয়ে জারি থাকবে আন্দোলন, ঘোষণা সংগ্রামী যৌথ মঞ্চর

৪৩ দিন পর ধর্মতলার মঞ্চ থেকে অনশন প্রত্যাহারের ঘোষণা করলেন মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি কর্মীরা। তবে,তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের লড়াই থামবে না। বস্তুত, দিনের পর দিন না খেয়ে বসে থেকে অনেকের শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছিল, তাই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা তাঁদের রণকৌশলে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন। নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য রাজ্যের নানা প্রান্তে তাঁরা প্রচার চালাবেন। জেলার মানুষকেও সংযুক্ত করবার চেষ্টা করবেন।

যৌথ মঞ্চ ইতিমধ্যে একগুচ্ছ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছে। রবিবার সংগঠনের তরফে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে গণ হারে বৈদ্যুতিন বার্তা পাঠানো হবে। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আগামী ৩০ মার্চ মহাসমাবেশ হবে সরকারি কর্মীদের। ওইদিন সকলেই ছুটি নেবেন। হাওড়া এবং শিয়ালদহ থেকে দু’টি বিশাল মিছিল এবং গণ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। শহিদ মিনার ময়দানেও সেদিন সভা হবে। ১০ এবং ১১ এপ্রিল দিল্লির যন্তরমন্তরে দু’দিনের অবস্থান বিক্ষোভে বসবেন ডিএ আন্দোলনকারীরা।

 বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের ডিএ-র পার্থক্য ৩৬ শতাংশ হওয়া নিয়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন।

 মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে সরকারি কর্মচারীদের মূল বেতনের সঙ্গে মহার্ঘ্য ভাতা  দেওয়া হয়।    কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের দেওয়া ডিএ ব্যবধান বরবারই ছিল।  সে বাম আমল হোক বা তৃণমূল। কিন্তু বর্তমান শাসক দলের গণমোহিনী রাজনীতির সৌজন্যে  রাজ্যের কোষাগারে টান পড়েছে। কেন্দ্র রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। রাজনৈতিকভাবে  মমতাকে বেকায়দায় ফেলার এমন সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করতে তাঁরা নারাজ। রাজনীতির টানা পোড়েনে নাজেহাল হচ্ছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা।  মমতা বলেছেন, তিনি ডিএ দিতে আগ্রহী । বাজেটে  ৩% ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছেন।  কিন্তু আন্দোলনরত সরকারি কর্মীরা তাতে অখুশি। তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের অনেকেই এটিকে সরকারের অনুগ্রহ বলে  মনে করেন।  এ প্রসঙ্গে তাঁরা ১৯৫৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উল্লেখ করে  থাকেন। কিন্তু একথা  বলা প্রয়োজন, ২০০৯ সালে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার রোপা আইন নিয়ে আসে।যাতে মহার্ঘ্য ভাতা সরকারি কর্মচারীদের অধিকার রূপে স্বীকৃত হয়। উল্লেখ্য,  তখন কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রদেয় মহার্ঘ্য ভাতার শতাংশের ব্যবধান থাকলেও অনিয়মিত ছিল না।  কিন্তু মমতা এক্ষেত্রে বার বার কেন্দ্র থেকে  টাকা না পাওয়ার অজুহাত খাড়া করে সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া  ডিএ থেকে বঞ্চিত করছেন। তাঁর ব্যবহারে ক্ষুব্ধ একাংশের সরকারি কর্মী।   ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে তাঁদের।।  অনশন  প্রত্যাহার  করছেন, কিন্তু লড়াই থামাচ্ছেন না। নিজেদের অবস্থানে তাঁরা অনড়। অসন্তোষ রয়েছে নীচু তলার পুলিশকর্মীদের মধ্যেও। এমতাবস্থায় , আগামী পঞ্চায়েতে কর্মীরা নিজেদেরকে দূরে সরিয়ে রাখলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর নির্ভর করে ভোট পরিচালনা করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় তৃণমূল নেত্রীর কাছে খোলা থাকবে না। সেক্ষেত্রে বহু আসনে তৃণমূলের ভোট শতাংশ সংকটের মুখে পড়তে পারে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!