- দে । শ
- মে ১১, ২০২২
দানিশকে আবার ‘পুলিৎজার’।পুরস্কৃত আরও তিন ভারতীয় আলোকচিত্রী ।

মরনোত্তর ‘পুলিৎজার’ পুরস্কার পেলেন রয়টার্সের নিহত আলোকচিত্রী দানিশ সিদ্দিকি।সঙ্গে আরও তিন ভারতীয় চিত্র সাংবাদিক —তাঁরা হলেন, আদনান আবিদি, সানা ইরশাদ মাট্টু আর অমিত দাভে।আদনান দিল্লিতে কর্মরত।সানা কাশ্মিরী আলোচিত্রী।অমিত আহমেদাবাদের বাসিন্দা।গত বছর এপ্রিল-মে নাগাদ পাক-আফগান সীমান্তে জঙ্গিদের গুলিতে মারা গিয়েছিলেন দানিশ।জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতির আলোকচিত্রী।জীবনদ্দশায় ২০১৮ সালে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ছবি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যও পুলিৎজার পেয়েছিলেন দানিশ।দুবার পুলিৎজার বিজয়ীদের মধ্যে দানিশই প্রথম আলোকচিত্রী ।
প্রথমে অর্থনীতি, পরে গণযোগাযোগ নিয়ো স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন দানিশ।ছাত্রাবস্থায় ক্যামেরায় নানা সঙ্কটের ছবি উঠে আসে। পরে চিত্র সাংবাদিক হিসেবে তাঁর খ্যাতি সমস্ত সীমানাকে ডিঙিয়ে যায় এবং আলোকচিত্রী হিসেবে যোগ দেন রয়টার্সে । আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার হয়ে বিশ্ব জুড়ে শুরু হয় তাঁর পর্যটন । দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্য এশিয়া, আফ্রিকা এবং পশ্চিম এশিয়ায় যে সব অঞ্চলে যুদ্ধ আর গৃহযুদ্ধ দেখা দেয়, সেখানেই পৌঁছে যায় তাঁর লেন্স । তাঁর আলোকচিত্র শুধু চিত্র নয়, সময়ের অসামান্য দলিল হয়ে ওঠে। তালিবান-এর দ্বিতীয় উত্থান, আফগান ভূখণ্ড ছেড়ে সন্ত্রস্ত্র মানুষের মিছিল তথ্যচিত্রের আকারে স্থাপিত হতে থাকে তাঁর ক্যামেরার চোখে। দুঃসাহস আর শিল্পিত অভ্যাস নিয়ে আমৃত্যু মানুষের হয়ে লড়াই করে গেছেন দানিশ। মরণোত্তর পুরস্কারে ভূষিত করে পুলিৎজার প্রমাণ করল—৩৮ বছর বয়সি আলোকচিত্রী যেমন কালোত্তীর্ণ, তেমনি তাঁর প্রতিষ্ঠিত দৃষ্টান্ত অসামান্য ।
করোনাকালে দিল্লিতে যখন দাউদাউ করে চিতা জ্বলছিল আর সে চিতার আগুনকে লোকচক্ষুর আড়ালে ঢেকে রাখতে মরিয়া হয়ে ওঠে প্রশাসন, সে বিরল চিত্র ক্যামেরায় তুলে নিয়ে এসেছিলেন দানিশ। আদনান আবিদি, সানা ইরশাদ মাট্টু আর অমিত দাভেও একইভাবে কোভিড কালের ছবি করুণ চিত্র বন্দী করেছিলেন তাঁদের ক্যামেরায়। প্রাতিষ্ঠানিক বাঁধা তাঁদের রুখতে পারে নি । এই তিন ভারতীয়কেও কুর্ণিশ জানাল পুলিৎজার। দানিশসহ চার তরুণ ভারতীয়কে স্বীকূতি দিয়ে প্রকারান্তরে আলোকচিত্রীদেরই শিল্পীর সম্মান জ্ঞাপন করল পুরস্কার কমিটি। এটিও এক বিরল ঘটনা ।
❤ Support Us