- এই মুহূর্তে
- মে ৯, ২০২২
ডার্কওয়েবে বিদেশ থেকে মাদক শহরে, ওড়িশা থেকে গ্রেফতার চক্রের পাণ্ডা ।
ভুবনেশ্বরে হানা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করলেন কলকাতা পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর আধিকারিকরা।

ডার্কওয়েবে অর্ডার দিলেই বিদেশ থেকে মাদক কলকাতায় এসে যাচ্ছে । কখনও আমেরিকান মারিজুয়ানা। আবার কখনও-বা ইয়াবা । গোয়েন্দাদের কাছে গোপন সূত্রে এ খবর ছিল। খোঁজ চলছিল মাদক চক্রের পাণ্ডার । গত ফেব্রুয়ারি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল এই মাদক পাচারের মূল পাণ্ডা দেবার্ষ মোরেক। ওড়িশার ভুবনেশ্বরে হানা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করলেন কলকাতা পুলিসের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর আধিকারিকরা। রবিবার ধৃতকে ব্যাঙ্কশালের বিশেষ মাদক আদালতে তোলা হতে পারে। একেকটি ইয়াবা ট্যাবলেট দুটশো থেকে পাঁচশো টাকায়ও বিক্রি হয় বলে জানা গেছে। ধৃত মাদক পাচারকারীর ক্রেতাদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিস জানিয়েছে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এসটিএফের গোয়েন্দারা কলকাতার একটি জায়গায় তল্লাসি চালিয়ে গাঁজা ও ইয়াবা উদ্ধার করে। পরীক্ষার পর গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে, উদ্ধার হওয়া গাঁজা আসলে মার্কিনি মারিজুয়ানা। কলকাতা ও অন্যান্য রাজ্যের শহরগুলির মাদরাসক্তদের কাছে এই মাদকের চাহিদা তুঙ্গে । চোরা পথে বাইরে থেকে যেমন কলকাতায় ঠিক তেমনি কলকাতা থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশেও পাচার হয় ওই মারিজুয়ানা ও ইয়াবা । ওই ঘটনায় তখন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় দুই মাদক পাচারকারী। তাদের জেরা করে এসটিএফের গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে, বিদেশ থেকে ডার্কওয়েবের মাধ্যমে অর্ডার দেওয়া হয় এই মাদকের। দাম মেটানো হয় ক্রিপটোকারেন্সিতে। বেআইনিভাবে কুরিয়ার সার্ভিসেই পাচারকারীদের হাতে এসে পৌঁছয় এই মাদক। ধৃতদের জেরা করে গোয়েন্দারা এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড দেবর্ষ মোরের নাম জানতে পারেন । ওই যুবকের হদিশ পেতে দক্ষিণ কলকাতার লেক এলাকার শরৎ ব্যানার্জি রোডে হানা দেন গোযেন্দারা। কিন্তু সেখানেও তার হদিশ মেলেনি। ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে, সেখানে বসেই ডার্কওয়েবে অর্ডার দিয়ে চোরাপথে বিদেশ থেকে মাদক নিয়ে আসত সে। তখন থেকেই দেবর্ষের সন্ধান চলছিল । সম্প্রত্তি গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে, ওড়িশার ভূবনেশ্বরে ঘাঁটি তৈরি করেছে সে। একটি গোপন জায়গায় আশ্রয় করে নতুন করে মাদক পাচারের কারবার শুরু করেছে ।
সেই সূত্র ধরেই ভূবনেশ্বরে পৌঁছে এসটিএফ তাকে গ্রেফতার করে। কলকাতায় কলেজ ছাত্রদের কাছে সে আমেরিকান মারিজুয়ানা বা ইয়াবা বিক্রি করত কি না, তা তাকে জেরা করে গোয়েন্দারা জানার চেষ্টা করছেন । গোয়েন্দাদের মতে, এর আগেও একাধিকবার এই পদ্ধতিতেই ডার্কওয়েবে কলকাতায় মাদক পাচার করেছে ওই যুবক।
❤ Support Us