- এই মুহূর্তে বি। দে । শ
- মে ২৯, ২০২৪
নিউ টাউনের আবাসনের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে মিলল মাংস ও চুলের অংশ, ডিএনএ মেলাতে ঢাকা থেকে কলকাতায় আসছে সাংসদ-কন্যা

বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ার উল আজিম আনার মৃত্যুর পরতে পরতে রহস্য ক্রমশ জটিল আকার নিচ্ছে। এখনও পুলিশ তাঁর মৃতদেহ আবিষ্কার করতে পারেনি। তাঁর মৃত্যু রহস্যের কিনারা করতে গিয়ে দুই দেশের গোয়েন্দারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তদন্ত করছেন। এমতাবস্থায় গত মঙ্গলবার নিউ টাউনের সঞ্জীবা গার্ডেন আবাসনের সেপটিক ট্যাঙ্ক ,বর্জ্য নিষ্কাশনের পাইপ থেকে মাংস এবং চুল উদ্ধার হতে নড়েচড়ে বসেন তদন্তকারীরা। তাঁদের অনুমান এই মাংস এবং চুল বাংলাদেশি সাংসদেরই। নমুনা ইতিমধ্যে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সি আই ডিকে নিউ টাউনের ওই ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাঙ্কে তল্লাশি চালানোর জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশিদ। বাংলাদেশে ধৃত তিন জন এবং পশ্চিমবঙ্গে ধৃত অভিযুক্ত জ়ুবেরকে জেরা করে কিছু আন্দাজ করেছিলেন হারুন। এর আগে তিনি ওই ফ্ল্যাটের শৌচালয়ে, ওই আবাসন সংলগ্ন জলাশয়েও তল্লাশি চালাতে অনুরোধ করেছিলেন পুলিশকে।
সাংসদের দুই কন্যা । তাঁর মধ্যে মুমতারিন তাঁর বাবার নিখোঁজের অভিযোগ সর্বপ্রথম ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে জানায়। কলকাতা পুলিশ সুত্রে খবর, সেপটিক ট্যাঙ্কে প্রাপ্ত নমুনা আদৌ আনোয়ার উল আলমের কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য মুমতারিনের ডিএনএ-র সঙ্গে ওই নমুনাগুলির ডিএনএ মিলিয়ে দেখা হবে।
বাংলাদেশের সাংসদ খুনের ‘মূল চক্রী’ বলে অভিযুক্ত নিহতের বাল্যবন্ধু আখতারুজ্জামান শাহিন-সহ চার জনের বিরুদ্ধে ‘লুকআউট নোটিস’ জারি করেছে সিআইডি। তাড়াখবর পেয়েছে, শাহিনের সঙ্গে সোনার কারবার করতেন সাংসদ। লেনদেন সংক্রান্ত বিশাল অঙ্কের টাকা না পেয়ে তিনি ছোটবেলার বন্ধুকে রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করেন। সেই অনুযায়ীই তাঁকে কলকাতায় টেনে আনেন তিনি যদিও এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় দু দেশের গোয়েন্দারা। ।রবিবার তদন্তের জন্য বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রধান কলকাতায় এসেছিলেন । তিনি নিউ টাউনের ওই আবাসনেও যান। তাঁর সঙ্গে ছিল তদন্তকারী পুলিশের একটি দল। গোয়েন্দা প্রধান জানান , সাংসদের দেহাবশেষ না মিললেও তদন্ত থেমে থাকবেনা।
❤ Support Us