- দে । শ
- জুন ১৮, ২০২৪
বসিরহাটের প্রসূতির মৃত্যু।চিকিৎসা গাফিলতির অভিযোগে হাসপাতালে ভাঙচুর
কাছেই জেলা হাসপাতাল। কিন্তু সেখানে না গিয়ে দালল চক্রের খপ্পরে পড়ে হাসপাতালের কাছেই বেসরকারি নার্সিংহোমে বোনকে ভর্তি করেছিলেন নুর ইসলাম গাজি। ২ কন্যার পর এদিন তৃতীয় সন্তানের জন্ম দিয়েই মৃত্যু হয় মমতাজের। অভিযোগ ওঠে নার্সিংহোমে চিকিৎসার গাফিলতির। প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় বসিরহাটের ওই বেসরকারি নার্সিং হোমে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় মৃতার পরিবার ও গ্রামের লোকজন। নিগ্রহ করা হয় চিকিৎসককেও। মঙ্গলবার দুপুরের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত মহিলার নাম মমতাজ বিবি (২৭)। বাড়ি ইটিন্ডা পানিতর গ্রামে। এদিন তাঁকে বসিরহাটের নৈহাটিতে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। এদিনই তাঁর সিজার হয়। একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু প্রসূতির শারিরীক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
পরিবারের লোকজনকে জানানো হয় প্রসূতির শরীরে রক্তের ঘাটতি রয়েছে। রক্তের প্রয়োজন। আত্মীয়, পরিজন, প্রতিবেশীরা অনেকেই রক্ত দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে চলে আসেন। ততক্ষণে রোগীর অবস্থার অবনতি হয়। নার্সিংহোমের বেডেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের লোকজন এই খবর জানার পরেই তাঁরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। গ্রাম থেকে আরও লোকজন এসে নার্সিংহোমে তান্ডব চালায়। চেয়ার টেবিল, জানলার কাচ, রিসেপশনে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। কয়েকজন মোবাইলে ছবি তুলতে গেলে তাদেরকেও মারধোর করা হয়েছে। নার্সিংহোমের এক চিকিৎসককেও মারধোর করা হয়েছে। প্রসূতির বাড়ির লোকের অভিযোগ, নার্সিংহোমে কোন পরিকাঠামোই নেই। বাইরে থেকে যত চাকচিক্য। চিকিৎসার গাফিলতির ফলে মমতাজ বিবির মৃত্যু হয়েছে। এর জন্য নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসক দায়ি। ‘সোম মেডিকেল সেন্টার নার্সিং হোমের চিকিৎসক ডাঃ ভাস্কর সোম বলেন, চিকিৎসার কোন গাফিলতি হয় নি। আগে থেকেই মহিলার রক্তচাপ বেশি ছিল। সিজারের পরে অবস্থার অবনতি হয়। নার্সিংহোমে চিকিৎসার সব রকম চেষ্টা করা হয়েছে। বসিরহাট জেলা হাসপাতালের কাছেই নার্সিংহোমটি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় মানুষের। তাঁদের দাবি, এর আগেও একাধিকবার ওই নার্সিংহোমে রুগীর মৃত্যু ঘটেছে চিকিৎসার গাফিলতিতে। অবিলম্বে নার্সিংহোমটি বন্ধের দাবি তুলেছেন অনেকেই। সেইসঙ্গে চিকিৎসকের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন মৃতার পরিবার।
❤ Support Us