- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ২২, ২০২৩
২০০০টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত মু্দ্রা ব্যবস্থাপনার অঙ্গ। সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে টাকা জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া, নির্দেশ আরবিআই গভর্নরের

দু’হাজার টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত মুদ্রা ব্যবস্থার অঙ্গ বলেই মনে করেন আরবিআই-এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের একটি সুষ্পষ্ট মুদ্রানীতি রয়েছে আর তা মেনেই বাজার থেকে নোট তুলে নেওয়ার পথে এগিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।আশঙ্কা ও উৎকন্ঠার মাঝে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করলেন করলেন তিনি। সেইসঙ্গে বললেন, নির্ধারিত সময়ের পরও অবৈধ থাকবে না নোট। জনসাধারণ যাতে বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে পারেন তার জন্যই বেঁধে দেওয়া হল সময়সীমা।
সোমবার শক্তিকান্ত দাস একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছেন, নোট বাতিল নতুন কোনো নতুন বিষয় নয়। বাজারে কম মূল্যের মুদ্রার সংখ্যা কম থাকলে, অর্থ ব্যবস্থায় ভারসাম্য রাখতে, উচ্চ মূল্যের মুদ্রার সরবরাহ বাজারে করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এ নিয়ে একটি সুনির্দিষ্ট নীতি রয়েছে। একটি সিরিজের নোট তুলে নিয়ে নতুন নোট জারি করা। দু হাজার টাকা এখনও আইনত বন্ধ হয়নি। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাধারণ মানুষ ব্যাঙ্কে গিয়ে জমা দিতে পারবেন। তার জন্য আলাদা করে কোনো পরিচয়পত্র দেখাতে হবে না। করতে হবে না কোনো ফর্মপূরণ। ব্যাঙ্কগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন বদলে সম মূল্যের পর্যাপ্ত সংখ্যক নোট গ্রাহকদের দেন। ২৩ মে থেকে এই সুবিধা মিলবে৷ তবে, একবারে ২০০০ টাকার নোটে ২০ হাজার টাকার বেশি বদলানো যাবে না৷ সাধারণ মানুষের কাছে তার অনুরোধ, ব্যাঙ্ক যাওয়ার জন্য তাঁরা যেন বেশি ব্যস্ত না হন। ধীর সুস্থে টাকা জমা দেওয়ার কাজটি সম্পূর্ণ করা যেতে পারে।
২০০০ টাকার নোট চালুর কিছু সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ছিল আর তা পূরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন শক্তিকান্ত দাশ। ২০১৬ সালে যখন প্রথম নোটবন্দী হয়েছিল। সেসময় বাজারে অল্প মূল্যের নোট ছিল না। কিন্তু এখন আর সে অবস্থা নেই। দশ, কুড়ি, একশ , দুশো ও পাচশো নোট এখন প্রচুর । আজকের পদক্ষেপ জনগণকে খুব একটা সমস্যায় ফেলবে না বলেই তাঁর ধারণা।
তিনি আরো বলেছেন, ২০০০ টাকার ৮৯ শতাংশ নোটই ২০১৭ সালের আগে ছাপানো হয়েছিল৷ তাই সেগুলির চার-পাঁচ বছরের যে স্বাভাবিক মেয়াদ ইতিমধ্যেই ফুরিয়েছে৷ ২০২৩ সালের ৩১ মার্চের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই মুহূর্তে বাজারে যে সংখ্যক ২০০০ টাকার নোট রয়েছে তাঁর মূল্য ৩.৬২ লক্ষ কোটি টাকা৷ যার সম্পূর্নটা খুব শীঘ্রই ফিরে পাবে বলে বলে মনে করছে আরবিআই।
❤ Support Us