- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ৮, ২০২৪
বড়ো দলে কাউকে নেওয়ার আগে পরীক্ষা নেওয়া উচিত। কাকে ইঙ্গিত দিলীপ ঘোষের ?

তালশাঁস, আম কাঁঠাল, দেশি পাকা খেজুর খেয়ে, ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে মাছ ধরে দিন কাটালেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি, প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। ছিপ হাতে মাছের ভেড়িতে একদম অন্য মেজাজে ছুটি কাটালেন তিনি। দিলীপ ঘোষ যেখানে যাবেন সেখানে বিতর্ক থাকবে না এমন তো হতে পারে না। সাংবাদিকরা দিলীপ ঘোষের পিছু ছাড়েনি। রাজ্যে দলের আসন কমে ১৮ থেকে ১২তে নেমে আসা নিয়ে দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেন, ‘রাজনীতি তৈলাক্ত বাঁশের মত কখনও ওপরে কখনও নিচে। লড়াইতে আমরা নেমেছি। আপডাউন তো থাকবেই।’ তিনি বলেন, ২০০৪ সালে মমতার ৮ টা থেকে ১ টায় নেমেছিল। এত খারাপ রেজাল্ট আমাদের হয়নি। ২০১৯ সালে ৩৪ থেকে ২২ নামিয়েছিলাম। উনি এখন পুরোনো স্কোরে যেতে পারেননি। ২৯ নিয়ে কথা বলছেন।’
এদিন সকাল সকাল দিলীপ ঘোষ চলে আসেন উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতের গুণরাজপুরে । একেবারে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের একটি গ্রাম গুণরাজপুর। বনগাঁ লোকসভার মধ্যে পড়ে স্বরূপনগর। গুণরাজপুরের বিজেপি নেতা বৃন্দাবন সরকারের আতিথ্যে তিনি সপার্শদ মৎস্য শিকারে বসে যান হুইল ছিপ হাতে। বলেন, ছুটি কাটাতে এসেছি। তালশাঁস, আম, কাঁঠাল, পাকা খেজুর খেলাম। কথার ফাঁকে দলের সিদ্ধান্তের প্রতি অসন্তোষ বেরিয়ে আসে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির কথায়। তিনি বলেন, দলের মধ্যে যে অদল বদল হয়েছে মানুষ তাতে আস্থা রাখতে পারেননি। অনেক কর্মী নামেনি।’ তাঁর উত্তরসূরি রাজ্যে যিনি দলের দায়িত্ব সুকান্ত মজুমদারের পারফরম্যান্স কেমন জানতে চাইলে দিলীপ ঘোষ বলেন, পারফরম্যান্স বিচার করার দায়িত্ব আমার নয়। নিজের কেন্দ্র বদল নিয়ে দিলীপ বলেন, প্রথমে আমি রাজি হইনি। পরে দলের নির্দেশ মেনে গিয়েছিলাম। কেন্দ্র ,রাজ্য কারো কথা বলতে চাইনা। তবে যিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা ঠিক নেননি, এটাই বলতে চেয়েছি। অগ্নিমিত্রা পাল যে কথা বলছেন তাকে দিলীপ বলেন, এসব বলে পিঠ বাঁচানো যায় পার্টি বাঁচানো যায় না। এবার রাজ্যের ভোটে যিনি দিলীপকে পিছনে ফেলে প্রচারের আলোয় ছিলেন সেই শুভেন্দুর অধিকারির নাম না করে দিলীপ বলেন, ‘দলে তিনি কেন এসেছেন সেটা বোঝা উচিত। যদি আদর্শের জন্য কেউ আসে সে তো অপেক্ষা করবে না পার্টি কবে বড়ো হবে। পার্টি বড়ো হয়ে যাওয়ার পর যিনি আসবেন তাঁর পরীক্ষা নেওয়া উচিত।’
তিনি যে এক্স হ্যান্ডেলে মন্তব্য করেছেন ‘ওল্ড ইজ গোল্ড’ সে সম্পর্কে দিলীপ বলেন, যখন দলের বিপর্যয় হয় তখন পেছনে তাকানোর দরকার আছে। দলকে দাঁড় করিয়েছেন, জিতিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে নিতে হয়। দলের অনেক কার্যকর্তা বসে আছেন । তাঁদের সঙ্গে নেওয়া উচিত।
❤ Support Us