- এই মুহূর্তে দে । শ
- অক্টোবর ১৪, ২০২৪
টাকিতে মেলেনি দুই বাংলা। বিজয়ার উৎসবে একরাশ আক্ষেপ ইছামতীর পাড়ে

টাকির বিজয়ার উৎসবে উদ্দীপনার থেকে যেন বেশি আক্ষেপ। পুজোর দিনগুলিতেও দেখা গেছে সেই উদ্দীপনা নেই। টাকির থুবার মোড়ে আরজি করের ঘটনার প্রেক্ষিতে নিরব প্রতিবাদ চলেছে। নিহত তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের বিচার চেয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে একটি জায়গায় পথচলতি মানুষকে প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেছে। আবহাওয়ার বিরূপতাকে মোকাবিলা করে উৎসব কাটিয়ে টাকির বিজয়া হতাশ করল খন্ডিত বাংলার বাঙালিকে। এক কথায় জমল না টাকির বিজয়ার উৎসব। কখনও রোদ কখনও মেঘলা আকাশ মাথায় হাজার হাজার মানুষের ভিড় জমেছিল ইছামতীর দু’পারে। বেলাশেষে আক্ষেপের সুরে ভারাক্রান্ত চরাচর। খন্ডিত বাংলার মিলন অধরা থেকে গেল এবারও।
সীমান্তে কড়াকড়ি, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার ষ্পষ্ট প্রভাব দেখা গেল চিরাচরিত একটি মিলনোৎসবে। ইছামতী নদীর ওপরে ছিল ভারত বাংলাদেশের সীমান্ত পাহারার দায়িত্ব বিএসএফ ও বিজিবির কড়া নজরদারি। স্পিডবোটের টহলদারি। মাঝ নদী বরাবর সীমারেখা তৈরি করা হয়েছিল পরপর নৌকা নোঙর করে । পুলিস মোতায়েন ছিল ডাঙায়। নদীতে নৌকায় সওয়ারি হয়ে শোভাযাত্রায় শামিল হয়েছিলন বহু পর্যটক, স্থানীয় মানুষ। টাকি পুরসভা থেকে নদীর পাড়ে আলো, শৌচাগার, পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মহকুমা প্রশাসন এবং জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তারা হাজির ছিলেন টাকিতে। বাংলাদেশের প্রান্তে গ্রামগুলি থেকেও হাজার হাজার মানুষের সমাবেশ ঘটে। তাঁরা পাড়ে দাঁড়িয়ে এপার বাংলার প্রতিমা নিরঞ্জন প্রত্যক্ষ করেন। বরাবার এভাবেই একরাশ সীমাবদ্ধতা নিয়ে দেশ, কাল, জাতপাতের বিভেদ দূর করে দেয় ইছামতী। কিন্তু এবারে সেভাবে সাড়া মেলেনি উৎসবরের আয়োজনে। পঞ্জিকা মেনে শনিবারেই টাকির বনেদি বাড়ি গুলির প্রতিমা নিরঞ্জন হয়ে গেছে। টাকির বারোয়ারি পুজো গুলির হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিমা নদীতে প্রদক্ষিন করে। বাংলাদেশের কোন নৌকা নদীতে নামেনি। দুই বাংলার সেই যে নদীর বুকে দু’দেশের সীমারেখায় মিলে যাওয়া ক্ষণিকের জন্য সেটা আর হল না। আক্ষেপ রয়ে গেল এই যা। হয়ত, এই আক্ষেপ চিরস্থায়ী হয়ে গেল।
❤ Support Us