- এই মুহূর্তে বি। দে । শ
- জুলাই ৩, ২০২৪
ব্রিটেনের নির্বাচনে জমমত সমীক্ষায় এগিয়ে লেবার পার্টির কির স্টারমার, ক্ষমতা হারাচ্ছেন ঋষি সুনক?

আগামীকাল, বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচন। আবার কি ক্ষমতায় আসবেন কনজারভেটিভ পার্টির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক? না বাজিমাত করবেন লেবার পার্টির কির স্টারমার? কনজারভেটিভ পার্টের নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক অবশ দাবি করেছেন তিনিই আবার ক্ষমতায় ফিরছেন।
ঋষি সুনক যতই দাবি করুন তিনিই আবার ক্ষমতায় আসছেন, কাজটা কিন্তু ততটা সহজ হবে না। জনমত সমীক্ষা অন্তত সেরকমই ইঙ্গিত দিচ্ছে। দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আর জনসেবামূলক কর্মসূচীর ওপর চাপের মধ্যে এবারে ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে নতুন সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জের মধ্যে থাকবে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং গাজার যুদ্ধ। জয়ের ব্যাপারে ঋষি সুনক আত্মবিশ্বাসী থাকলেও জনমত সমীক্ষা কিন্তু উল্টো কথা বলছে। জনমত সমীক্ষায় কির স্টারমারের নেতৃতে বিরোধী দল লেবার পার্টি ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ দলের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি সমর্থন পাচ্ছে।
কনজারভেটিভ পার্টি গত ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে, যে সময় ছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বাকবিতণ্ডার মাঝে ব্রিটেনের বেরিয়ে আসা এবং করোনা ভাইরাস মহামারি মোকাবেলায় প্রবল সমালোচিত পদক্ষেপ। সাধারণ মানুষের মধ্যে কনজারভেটিভ পার্টিকে নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে। এছাড়া আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়ও রয়েছে। করোনা লকডাউন নিয়মভঙ্গসহ কয়েকটি কেলেঙ্কারির পর জনসন পদত্যাগ করেছিলেন। জনসনের ভাবমূর্তি ঝেরে ফেলতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সুনাকের অসুবিধা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে পর্যাপ্ত বিনিয়োগের অভাবে জনসেবা ধসে পড়ছে। গত ১০ থেকে ১৫ বছরে সাধারণ মানুষের আয় বৃদ্ধি খুবই ধীরে হয়েছে। জনগণ অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।
ব্রিটেনের তুলনামূলক ছোট দলগুলো নির্বাচনের ফলাফলে বড় ভূমিকা নিতে পারে। মধ্য বামপন্থী লিবেরাল ডেমক্র্যাটরা তৃতীয় স্থানে ঠেলে দিতে পারে কনজারভেটিভ দলকে। অভিবাসন–বিরোধী, বেক্সিটপন্থী ইউকে রিফর্ম পার্টিও কনজারভেটিভদের ডানপন্থী ভোটারদের তাদের দিকে টেনে নিতে পারে। রিফর্ম নেতা নাইজেল ফারাজ সম্প্রতি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের জন্য পশ্চিমী দেশগুলোকে দায়ী করলে তাঁকে অন্যান্য দল তীব্র সমালোচনা করে।
তবে কির স্টারমারকে নিয়ে এখন ব্রিটেনে আলোচনা তুঙ্গে। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছেন তিনি। তবে ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় দারুম মেধাবী ছিলেন। আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন। প্রথমে ব্যারিস্টার হন। ২০০৮ সালে ব্রিটেনে সরকারী আইনজীবীদের প্রধান হন। সামাজিক ন্যায়ের ব্যাপারে অবদানের জন্য নাইট উপাধিও পেয়েছেন। ২০১৫ সালে নির্বাচনে জিতে প্রথম পার্লামেন্টে আসেন। ২০২০ সালে জেরেমি করবিনকে হারিয়ে স্টামরার লেবার পার্টির নেতা হন। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে জিতলে তাঁর সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।
❤ Support Us