Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • জুন ৯, ২০২৩

এল নিনোর প্রভাবে উষ্ণতম হবে ২০২৪। ভারত ,অষ্ট্রেলিয়া সহ একাধিক দেশে দেখা দেবে খরা । সতর্কবার্তা বিজ্ঞানীদের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
এল নিনোর প্রভাবে উষ্ণতম  হবে ২০২৪। ভারত ,অষ্ট্রেলিয়া সহ একাধিক দেশে দেখা দেবে খরা । সতর্কবার্তা বিজ্ঞানীদের

ক্রমশ বাড়ছে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উষ্ণতা। তাই গরমের দাবদাহের কাহিল লাতিন আমেরিকা। মূলত এল নিনো নামক সমুদ্র স্রোতের কারণেই এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। আবহবিদদের মতে, এটি খুবই স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ঘটনা। তবে, তার জেরে সমগ্র বিশ্বের গড় তাপমাত্রা আগামী দিনে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে। যা প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে নির্ধারিত সীমার যে অনেকটাই বেশি। আবহাওয়ার ব্যাপক রদবদলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে দক্ষিণ আমেরিকা ও অষ্ট্রেলিয়ার মত দেশ। দেখা দিতে পারে খরা। এমনকি ভারতের ক্ষেত্রেও মৌসুমী বায়ু দুর্বল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এল নিনোর প্রভাবে এখন তাপমাত্রা  বাড়বে। বছরের শেষে তা সর্বোচ্চ সীমায় গিয়ে পৌঁছাবে।সামনের বসন্ত পর্যন্ত জারি থাকবে এ প্রক্রিয়া। যার ফলে আগামী বছর হয়ে উঠবে উষ্ণতম । সাধারণত দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যে এল নিনো দেখা যায়, তাঁর তিনটি পর্যায় রয়েছে। যেমন– উষ্ণ, শীতল ও নাতিশীতোষ্ণ। যার প্রথমটি দু বছর থেকে সাত বছর অন্তর দেখা যায়। উষ্ণ এ সমুদ্রস্রোতের কারণে দক্ষিণ আমেরিকার উপকূলবর্তী অঞ্চলে উষ্ণতা ক্রমশ বেড়ে যায় । যার প্রভাব দীর্ঘ স্থায়ী।

মার্কিন বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এল নিনোর যে চরিত্র তাতে মাসে ০.৫ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে উষ্ণতা। মে মাসে চিলি, পেরু, বলিভিয়াতে তাই দেখা গিয়েছিল প্রবল তাপপ্রবাহ। আমেরিকার ন্যাশনাল ওশেন এণ্ড আটমস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই উষ্ণতার সীমা কখনো একই জায়গায় থাকবে না আরো ০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে তাপমাত্রা। যার জেরে সাধারণত যে উষ্ণতা বজায় থাকে তার থেকে বছরের শেষ ৮৪ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে তাপমাত্রা। এখানে বলা জরুরি, ২০১৬ সালেও অস্বাভাবিক রকমের গরমের মুখোমুখি হয়েছিল লাতিন আমেরিকা। বহু ক্ষয়ক্ষতি ঘটেছিল সেবার।

সমীক্ষায় দেখা গেছে শিল্প বিপ্লবের পরবর্তী সময় থেকে গত দেড়শ বছরে ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে গড় তাপমাত্রা। এল নিনো র কারণে আরো ০.২ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। জলবায়ুর এই ব্যাপক পরিবর্তন বহু দেশেই ভারত, অষ্ট্রেলিয়া আমেরিকা সহ বহু দেশেই প্রাকৃতিক বিপর্যয় ডেকে আনবে।ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের জনজীবন অর্থনীতি। বিশ্বকে এমন দুর্বিপাক থেকে রক্ষা  করতে গেলে সচেতন  উদ্যোগ জরুরি। সতর্কবার্তা পরিবেশবিদদের।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!