Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • অক্টোবর ৭, ২০২৩

রাজ্যে বাজি বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া শুরু, ক্ষুব্ধ পরিবেশ কর্মীরা

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
রাজ্যে বাজি বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া শুরু, ক্ষুব্ধ পরিবেশ কর্মীরা

বৃহস্পতিবার থেকে নবান্নের পোর্টালে বাজি বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া শুরু হয়েছে। গত তিনবছর বন্ধ ছিল এই প্রক্রিয়া। তবে ফের চালু হল এই পোর্টাল। সামনেই সামনেই দুর্গাপুজো। তারপরই কালীপুজো, আলোর উৎসব , সেদিকে নজর রেখেই রাজ্যের এই উদ্যোগ। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে প্রমাদ গুনছেন পরিবেশবিদরা। তাদের বক্তব্য, যারা রাজ্যের কাছ থেকে লাইসেন্স পেয়ে বাজি বিক্রি বড়বেন সেই বাজি যে সবুজ বাজি বা পরিবেশবান্ধব বাজি সেটা কী রাজ্য প্রশাসন নিশ্চিত করতে পারবে?

গত তিন বছর আগের চাইতে এবারের পরিস্থিতিটা অনেকটাই আলাদা। বারাসত, দত্তপুকুর, এগরা ভয়াবহ বিস্ফোরণের সম্প্রতি কেঁপে উঠেছে।  তার পর থেকে বেআইনী বাজির বিরুদ্ধে ধরপাকড়ও হয়েছে পুরোদমে। কিন্তু সেই পরিস্থিতির বদল কতটা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্নটা এখনও রয়েছে। তবে এবার এই সব কিছুকেই মাথায় রেখে সতর্ক হয়ে বাজির লাইসেন্স দেওয়া শুরু করেছে রাজ্য সরকার।

দত্তপুকুর, বজবজ, মহেশতলা, মালদহ এই সব জায়গায় একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনা বাংলার মানুষ দেখেছে। অবৈধ শব্দবাজি মজুত করা থাকলে বাস্তবে কী হতে পারে সেটা বুঝিয়েছে রাজ্যের সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণের ঘটনা। কিন্তু তারপরেও সতর্কতা অনেকাংশেই  এখনও আসেনি।
তারই মধ্যে রাজ্যের তরফে বাজি বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া নিয়ে কিছু প্রশ্ন তুলছেন পরিবেশবিদরা । তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, যাদের বাজি বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে তারা আদৌ কতটা ঝুঁকিবিহীন সবুজ বাজি বিক্রি করবেন সেটা কী রাজ্য সরকার নিশ্চিত করতে পারবে?  পরিবেশকর্মীদের একাংশের দাবি, আদালতের নির্দেশ সরকার না মেনেই বাজির লাইসেন্স দিয়ে দিচ্ছে। সব দিক খতিয়ে না দেখেই যে এই লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে সেটা স্পষ্ট। সেক্ষেত্রে এটা কতটা সুরক্ষিত সেটাও দেখা দরকার। সূত্রের খবর, শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় ৮৮৪টি লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তবে ৮৪টি লাইসেন্সের আবেদন কার্যত খারিজ হয়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে এর পর যদি বাজি থেকে উৎসবের সময়ে কোনও রকম দুর্ঘটনা ঘটে তার দায় কী রাজ্য সরকার নেবে?


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!