- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ১৮, ২০২৪
০.০০০১ শতাংশ গাফিলতিও বরদাস্ত নয়, সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে কেন্দ্র ও এনটিএ

নেট কেলেঙ্কারিতে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল কেন্দ্র ও জাতীয় পরীক্ষা গ্রাহক সংস্থা এনটিএ।মঙ্গলবার এই দুই পক্ষের কাছে জবাব তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ একাধিক বেনিয়মের অভিযোগে আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়। আজ তার শুনানি ছিল।
সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চ তাদের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে , ‘যদি কোনও ক্ষেত্রে ০.০০০১ শতাংশ গাফিলতিও ঘটে থাকে, তবে তা সবিস্তারে দেখা উচিত। ‘ বেঞ্চ জানিয়েছে, দীর্ঘ প্রস্তুতির পর ছাত্র ছাত্রীরা এই পরীক্ষায় বসেছে। ফলে তাদের পরিশ্রমের দিকটি কোনোভাবে অস্বীকার করা যায় না। আশা করা যায় যে উপযুক্ত সময়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জাতীয় পরীক্ষা গ্রাহক সংস্থার উদ্দেশ্যে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে,’ আপনাদের সবসময় নিরপেক্ষ হওয়া উচিত। এটা কোনও গতানুগতিক মামলা নয়। এক্ষেত্রে কোনও ত্রুটি ঘটে থাকলে তা স্বীকার করুন। তাহলে মানুষের আপনাদের ওপর ভরসা থাকবে। ‘
উল্লেখ্য, ডাক্তারি পরীক্ষার সর্বভারতীয় পরীক্ষায় ১৫৬৩ জনকে বাড়তি নম্বর ও একসঙ্গে ৬৭ জনের প্রথম স্থান পাওয়া নিয়ে দেশের নানা প্রান্তে বিক্ষোভ দেখান পরীক্ষার্থীরা। তাঁরা দাবি করেন , প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। পাশাপাশি মেধাতালিকায় ৬৭ জন পরীক্ষার্থী প্রথম স্থানাধিকারি হন, যাদের মধ্যে ৬ জন একই পরীক্ষাকেন্দ্রের ।যদিও কেন্দ্র বরাবরই প্রশ্ন ফাঁসের দাবীকে নস্যাৎ করে এসেছে। পরবর্তীকালে ছাত্রছাত্রীরা দেশ জুড়ে প্রতিবাদ শুরু করে। এই বিক্ষোভ চলাকালীনই সুপ্রিম কোর্ট ওই ১৫৬৩ জনের গ্রেস নম্বর ‘বাতিল’ বলে ঘোষণা করে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, তাঁরা ইচ্ছা করলে আগামী ২৩ জুন তাঁরা আবার পরীক্ষা দিতে পারেন। নতুবা গ্রেস নম্বর বাদ দিয়ে যে নম্বর তাঁরা পেয়েছেন, তা নিয়েই তাঁদের সন্তুষ্ট থাকতে হবে।
❤ Support Us