Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • নভেম্বর ১৩, ২০২৪

শোকজ নোটিশ ছাড়া ভাঙা যাবে না বাড়ি, বুলডোজার জাস্টিস নিয়ে কঠোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
শোকজ নোটিশ ছাড়া ভাঙা যাবে না বাড়ি, বুলডোজার জাস্টিস নিয়ে কঠোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

“বুলডোজার জাস্টিস” বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিল সুপ্রিম কোর্ট। এক নির্দেশিকায় দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘন করলে আদালত অবমাননার মামলা হবে এবং আধিকারিকদের বেতন থেকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অবৈধ নির্মাণ ভেঙে খেলার সংক্রান্ত বুলডোজার জাস্টিস মামলায় এই রায় দিয়েছে।

বেশ কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলতে গিয়ে সরকারি আধিকারিকরা বৈধ স্থাপনাও ভেঙে ফেলেছে। এই ধরনের প্রবণতা বেশ কয়েকটি রাজ্যে ধরাও পড়েছে। বুলডোজারের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল হয়েছিল। সেই পিটিশনের ওপর রায় প্রদান করেছে দেশের শীর্ষ আদালত।

রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি বিআর গাভাই বলেন, একটা বাড়ি থাকা প্রতিটি পরিবারের স্বপ্ন। আদালতের সামনে একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন যে, কারও আশ্রয় ছিনিয়ে নেওয়া উচিত কিনা আমরা সংবিধানের অধিকার গুলি বিবেচনা করেছি, যা ব্যক্তিদের স্বেচ্ছাচারী রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। আইনের শাসন এমন একটা কাঠামো প্রদান করে যাতে ব্যক্তিরা জানেন যে সম্পত্তি নির্বিচারে কেড়ে নেওয়া হবে না।”

বিচারপতি গাভাই আরও বলেন, “আমরা জনগণের বিশ্বাস এবং জনসাধারণের জবাবদিহিতার মতবাদের কথা বলেছি। নির্বাহী যদি শুধুমাত্র অভিযুক্ত হওয়ার কারণে নির্বিচারে কোনও ব্যক্তির বাড়ি ভেঙে দেয় তবে তা ক্ষমতা পৃথকীকরণের নীতি লঙ্ঘন হবে। রাষ্ট্রের কোনও কর্তা যদি তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে থাকে বা সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাচারী বা খারাপ পদ্ধতিতে কাজ করে তবে তাকে রেহাই দেওয়া যাবে না। একজন নাগরিকের জন্য একটা বাড়ি নির্মাণ বছরের পর বছর পরিশ্রম স্বপ্ন এবং আকাঙ্খার চূড়ান্ত পরিণতি। বাড়িতে নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যতের সম্মিলিত আশা আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করে। যদি এটি কেড়ে নেওয়া হয় তাহলে কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই সন্তুষ্ট করতে হবে এটা একমাত্র উপায়।”

সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের অধীনে ক্ষমতা ব্যবহার করে সুপ্রিম কোর্ট ধ্বংসের জন্য নির্দেশিকাও জারি করেছে।

এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “শোকজ নোটিশ ছাড়া কোন স্থাপনা ধ্বংস করা যাবে না। যে ব্যক্তিকে নোটিশ দেওয়া হবে, ১৫ দিনের মধ্যে স্থানীয় নাগরিক আইনে তার জবাব দিতে হবে। এই নোটিশে অনুমোদিত নির্মাণের প্রকৃতি নির্দিষ্ট লঙ্ঘনের বিশদ বিবরণ এবং ভেঙে ফেরার কারণ সম্পর্কে তথ্য থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই অভিযুক্ত কথা শুনতে হবে এবং তারপর একটা চূড়ান্ত আদেশ দিতে হবে। বাড়ির মালিককে বেআইনি কাঠামো ভেঙে ফেলার জন্য ১৫ দিনের সময় দেওয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে বাড়ির মালিক যদি কোনও পদক্ষেপ না নেয় তাহলে কর্তৃপক্ষ ধ্বংস করার দিকে এগিয়ে যেতে পারে।” আদালত আরও জানিয়েছে, “এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ধ্বংসকৃত সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের জন্য দায়ী থাকবে এবং এর খরচ কর্তাদের বেতন থেকে আদায় করা হবে।”


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!