Advertisement
  • দে । শ
  • মে ৩০, ২০২৩

গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক ফেসবুক। একনায়কের ন্যায় ভয়ঙ্কর জুকারবার্গ। নোবেলজয়ীর আখ্যায় স্তম্ভিত নেট দুনিয়া

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক ফেসবুক। একনায়কের ন্যায় ভয়ঙ্কর জুকারবার্গ। নোবেলজয়ীর আখ্যায় স্তম্ভিত নেট দুনিয়া

সমাজমাধ্যমের ফেসবুক অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি গণমঞ্চ। বহু মানুষ এখান্নে তথ্যের আদান প্রদান করেন, ছবি ও ভিডিও শেয়ার হয় । প্রত্যেকে অংশগ্রহণকারী নিজের মত জানতে পারেন  যে সুযোগ সচরাচর সবাই পান না। তাই অনেকেই মনে করেন,  গণতন্ত্রের নতুন পরিভাষা তৈরি করেছে মার্ক জুকারবার্গ প্রতিষ্ঠিত অ্যাপটি। তবে, সবাই একই পথের পথিক হন না। ভিন্ন স্বরও থাকে। এমনই একজন হলেন মারিয়া রেসা। পেশায় সাংবাদিক। ফিলিপাইনের বাসিন্দা । লিখেছেন বহু বই। ২০২১ সালে শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন। দেশের সংকটজনক পরিস্থিতিতে ফেসবুকের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি।

সকলের বিপরীতে থেকে মারিয়া মনে করেন, ফেসবুক আসলে গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক।ব্যবহারকারীরাও বন্দি। নিজের দেশ ফিলিপাইন্সে রাষ্ট্রপতি দুতার্তে ও অন্যান্য গণতান্ত্রিক নেতাদের উত্থান ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ছ মাসের মধ্যে ক্রমান্বয়িক জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটিকেই দায়ী করেছেন তিনি। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একনায়কদের সম্পর্কিত একটি গ্রন্থ সম্পর্কে বলতে গিয়ে স্বগতোক্তির ঢং-এ তিনি মন্তব্য করেন, কোন একনায়কের সবথেকে বেশি ক্ষমতা ? দুটার্তে না মার্ক জুকারবার্গ ? তার এমন মন্তব্য সামনে আসতেই নেট দুনিয়ায় তাকে নিয়ে শুরু ঝয়েছে আলোচনা। অনেকে তাকে সমর্থন করলেও সমালোচনার তীরও ধেয়ে এসেছে প্রচুর।

নিজের বক্তব্যের সমর্থনে রেসা বলেছেন, ফিলিপাইনের ইন্টারনেট হল ফেসবুক। জনপ্রিয় এ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে প্রযুক্তি দানব আখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন, এই সব কোম্পানির কার্যনির্বাহী আধিকারিকরাই আমাদের জগতকে এখন নিয়ন্ত্রণ করছে। ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির পরিসংখ্যানকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অসত্য খবর সত্য কাহিনির চেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ফেসবুকে সেটা প্রায়ই হয়ে থাকে বলে মনে করেন তিনি। র‍্যাপলার নামক স্বাদহীন সংবাদ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতার ধারণা, পক্ষপাতমূলকভাবে তথ্য পরিবেশন করা হয়। অতীতেও তিনি এ ব্যাপারে বহুবার সরব হয়েছেন। তাতে লাভ কিছু হয়নি।

বেশ কয়েকবছর আগে দেশে ড্রাগের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সমালোচনা করায় তাঁরা পাল্টা হুমকির সম্মুখীন হন। যার মধ্যে অধিকাংশই মেয়েরা। রেসা এ ব্যাপারে চিঠি লিখে বলেন,  দেশের ৯৭ শতাংশ মানুষ  ফেসবুকে আসক্ত। এর বহুল  ব্যবহার কেমন ক্ষতি করছে তা নিজে চোখে এসে দেখুন জুকারবার্গ। প্রত্যুত্তরে তিনি বাকি ৩ শতাংশর হাল-হকিকত জানতে চেয়ে  বিষয়টি এড়িয়ে যান । তবে,  ফেসবুকের ক্ষতিকারক দিক থাকলেও  মানুষ ব্যবহার করা  ছেড়ে দিক তা  কখনোই চান না রেসা । নাহলে তা কিছু দুর্বৃত্তদের কুক্ষিগত হয়ে যাবে বলে মনে করেন নোবেলজয়ী । সেক্ষেত্রে ননবীন প্রজন্ম আরো বিপথে চালিত হতে পারে বলে তাঁর ধারণা।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!