- এই মুহূর্তে দে । শ
- অক্টোবর ২৮, ২০২৪
শিলাবতীর জলস্তর বেড়ে আবার বন্যা পরিস্থিতি ঘাটালে

কিছুদিন আগেই প্লাবিত হয়েছিল দুই মেদিনীপুর। নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ডিভিসি জল ছাড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের শিলাবতী, কংসাবতী নদীর জল। সাধারণ মানুষের জনজীবন ব্যাহত হয়। পুজোর আগে নিজেদের বাড়ি ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে থাকতে হয়েছিল সাধারণ মানুষকে। ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে আবার বন্যা পরিস্থিতি ঘাটালে। ‘দানা’–র প্রভাবে দুই মেদিনীপুরে গত কয়েকদিন তুমুল বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে শিলাবতী নদীর জলস্তর অনেকটাই বেড়ে গেছে। আর শিলাবতীর জল ঢুকে প্লাবিত ঘাটাল পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড।
শহরে জল ঢুকে যাওয়ায় ঘাটাল পুরসভার একাধিক এলাকা প্লাবিত। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে একাধিক ঘরবাড়ি জলের নীচে এই। জনজীবন ব্যাহত হয়েছে। বাসিন্দাদের যাতায়াতের জন্য নৌকা ও ডিঙিই ভরসা। প্রশাসনের তরফে প্লাবিত এলাকায় বন্যাদূর্গতদের জন্য ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। প্লাবিত এলাকায় সাধারণ মানুষের জন্য সবরকমের ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।
ভারী বৃষ্টি হলেই প্লাবিত হয়ে পড়ে ঘাটাল। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ঘোষণা করেছিলেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের বাস্তবায়ন করবে রাজ্য সরকার। তার জন্য প্রজেক্ট রিপোর্ট জমা পড়েছে। ইতিমধ্যেই সরকার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। শিলাবতীর জল ঢুকে চন্দ্রকোনা রাজ্য সড়কের আরগোড়া চাতাল এলাকাও প্লাবিত। এই এলাকার জনজীবনও ব্যাহত। কালীপুজোর প্রাক্কালে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত।
শুধু ঘাটাল পুরসভার এলাকাই নয়, ঘাটাল ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকাও প্লাবিত। বিঘের পর বিঘে চাষের জমিতে জল ঢুকে রয়েছে। ধানসহ অন্যান্য ফসল, সবজির চাষ সম্পূর্ণ নষ্ট। মাথায় হাত পড়েছে চাষীদের। শীতকালীন ফসল চাষের ক্ষেত্রে বিশাল বড় ধাক্কা চাষীদের। পান্না, নিমপাতাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষজন চরম সমস্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন। নবান্ন থেকে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব চাওয়া হয়েছে৷
❤ Support Us