- দে । শ
- সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩
নরেন্দ্র মোদি সরকারের নীতিকে সমর্থন মনোমোহনের, অস্বস্তিতে কংগ্রেস !

নরেন্দ্র মোদি পরিচালিত এনডিএ সরকারের সমালোচনায় যখন কংগ্রেস মুখর। রাহুল গান্ধি থেকে সোনিয়া গান্ধি সহ কংগ্রেসের সর্বস্তরের কর্মীরা যখন বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সমালোচনায় জাতীয় রাজনীতির অঙ্গনকে ধ্বনিত করছেন, মোদির সরকারের অপসারণের জন্য যখন কংগ্রেস “ইন্ডিয়া” জোট তৈরী করে বিরোধিতায় নেমেছে, ঠিক তখনই এই সাড়ে ৯ বছরে এই প্রথমবার মোদি সরকারের একটি নীতির প্রশংসা করতে শোনা গেল দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনোমোহন সিং-এর মুখে। স্বাভাবিক ভাবেই এতে অস্বস্তিতে কংগ্রেস তথা ইন্ডিয়া জোট।
রাশিয়া -ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে যেভাবে কোনও পক্ষ না নিয়ে ভারত নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নরেন্দ্র মোদির এই সিদ্ধান্তকেই প্রশংসা করলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। মনমোহন সিং এই প্রসঙ্গে বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারত যে অবস্থান নিয়েছে সেটা একেবারে সঠিক।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, “বিশ্বের যে কোনও দুটি শক্তি যখন একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করে, তখন অন্যান্য দেশগুলির পক্ষে খুব জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়। কার পক্ষ নেবে, ঠিক করাটা খুব কঠিন সিদ্ধান্ত হয়ে দাঁড়ায়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারত যে নিরপেক্ষ থেকেছে, এবং নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থ অক্ষুন্ন রাখার পাশাপাশি শান্তির পক্ষে বার্তা দিয়েছে, সেটা একেবারে সঠিক সিদ্ধান্ত।”
পাশাপাশি ভারতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন নিয়েও খুশি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে তিনি বলছেন,”আমি খুশি যে আমার জীবদ্দশাতেই এই সম্মেলন আয়োজনের সুযোগ পেল ভারত। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতাদের আমরা স্বাগত জানানোর সুযোগ পেলাম।” তবে তিনি মনে করিয়েছেন, এই সুযোগ ভারতের পাওয়ারই ছিল। শুধু প্রশংসা করেই থিম থাকেননি মনমোহন সিং। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, জি ২০ শীর্ষ সম্মেলন ভারতে হওয়ার জন্য সরকারের বাড়তি কোনও কৃতিত্ব নেই, এটা হওয়ারই ছিল। পাশাপাশি, সরকার যেভাবে বিদেশনীতিকে ভোট রাজনীতিতে ব্যবহারের চেষ্টা করছে, সেই কাজেরও বিরোধিতা করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। বর্তমান সরকারের উদ্দেশে তাঁর পরামর্শ, “আমার আমলে বিদেশনীতিকে এভাবে ভোট রাজনীতিতে ব্যবহার করা হত না। সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য অবশ্যই ইস্যু হতে পারে। কিন্তু সবসময় বিদেশ নীতিকে ভোট রাজনীতির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া উচিত নয়।”
আসলে সোনিয়া গান্ধির আস্থাভাজন মনমোহন সিং যদি নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেন, এই মুহূর্তে সেটা “ইন্ডিয়া” জোটের পক্ষে, কংগ্রেসের পক্ষে অস্বস্তির বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। কেননা আজই ব্রাসেলস থেকে রাহুল গান্ধি নরেন্দ্র মোদি সরকারকে সমালোচনা করে বলেছেন, “বিমান বন্দর, নৌ-বন্দর, কৃষি সবেই একচেটিয়া ভাবে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে হাতেগোনা শিল্পতিদের। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি রাষ্ট্রের অধীন থাকার কথা সেটা না করে ভারতের মতো দেশে এসব বেসরকারি মালিকানায় ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
❤ Support Us