- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- অক্টোবর ২, ২০২৩
মণিপুরে ছাত্র হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪, সিবিআই-এর কাছে হস্তান্তর ধৃতদের

জুলাই মাসে মণিপুরে দুই ছাত্রের ভয়াবহ খুনের ঘটনায ঘটেছিল। এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় এসেছিল। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এই চারজনের মধ্যে দু’জন পুরুষ এবং দু’জন মহিলা – এবং দু’জন নাবালকও রয়েছে এদের মধ্যে। এই দুই নাবালককে আসামের গুয়াহাটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুই নাবালিককে কামরুপ মেট্রো জেলার শিশু সুরক্ষা অফিসারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, বলে সিবিআই একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন পাওমিনলুন হাওকিপ, মালসাউন হাওকিপ, লিংনিচং বাইতে এবং তিননিখোল। খুন হওয়া ছাত্রী লাইংনিচং বাইটের বন্ধু ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানিয়েছেন। সন্দেহভাজনদের মধ্যে একজন চুরাচাঁদপুরের একটি বিদ্রোহী গ্রুপের সদস্যের স্ত্রী বলে অভিযোগ সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে।
মণিপুর পুলিশ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ক্র্যাক ইউনিট একটি যৌথ অভিযানে ইম্ফল থেকে ৫১ কিলোমিটার দূরে পার্বত্য জেলা চুরাচাঁদপুর থেকে সন্দেহভাজনদের ধরা হয়েছে। এখানেই ৩ মে থেকে জাতিগত সহিংসতা শুরু হয়েছিল। বেশ কয়েকটি কুকি বিদ্রোহী দল যারা ত্রিপক্ষীয় অভিযান স্থগিত করার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে, এই চুক্তি পার্বত্য জেলা ভিত্তিক।
এই চারজনকে ধরার পরে, বাহিনী দ্রুত বিমানবন্দরে চলে যায়, যেখানে সিবিআইয়ের একটি দল তাদের জন্য অপেক্ষা করছিল। সিবিআই দল এবং সন্দেহভাজনরা সন্ধ্যা পৌঁবে ছ’টা নাগাদ শেষ বিমানে উঠে ইম্ফল ছেড়েছে।
সূত্রের খবর, গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে কয়েকজন বিমানবন্দরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিমানটি ওড়ার সময় পর্যন্ত এক ঘন্টা “উত্তেজনা পূর্ণ” ছিল, সেই কারণে বিমানবন্দরের পাহারায় ছিল কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী বা সিআইএসএফ। সম্ভাব্য সমস্যা সম্পর্কে অবহিত থাকার জন্যই বিষয়টি সম্পর্কে সরাসরি জ্ঞাত থাকা ব্যক্তিরা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমকে। সিআইএসএফ সিবিআই-র তরফে জানানো হয়েছে ভাগ্যক্রমে বিমান বন্দরে অপ্রীতিকর কিছুই ঘটেনি।
মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী যেন বিরেন সিং তাঁর X হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “কথায় বলে কেউ অপরাধ করার পরে পলাতক হতে পারে, কিন্তু তারা আইনের দীর্ঘ হাত থেকে বাঁচতে পারে না। তারা যে জঘন্য অপরাধ করেছে তার জন্য মৃত্যুদণ্ড সহ সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, মায়ানমার ও বাংলাদেশের সন্ত্রাসীরা মণিপুর সঙ্কটকে কাজে লাগানোর জন্য কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সাথে হাত মিলিয়েছে এবং রাজ্যে চলতে থাকা সহিংসতা সন্ত্রাসবাদী এবং রাষ্ট্রের মধ্যে চলছে।
গতকাল, বাংলাদেশ ও মায়ানমারের সন্ত্রাসী নেতাদের জড়িত একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মামলায় জাতীয় তদন্তকরি সংস্থা চুড়াচাঁদপুর থেকে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে এক সন্ত্রাসী নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে।
❤ Support Us